চিতলমারীতে অবৈধ করাত কলের ছড়াছড়ি

বাগেরহাটের চিতলমারীতে সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশত অবৈধ করাত কল (স মিল)। পরিবেশ ও বন বিভাগের ছাড়পত্র এবং লাইসেন্স ছাড়াই সরকারি স্কুল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কের আশেপাশে যত্রতত্র স্থাপন করা হয়েছে এসব অবৈধ স মিল। মিল মালিকদের প্রভাব এবং কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে গড়ে উঠেছে এসব লাইসেন্স বিহীন ‘স’মিল। যার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ, ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। অপরদিকে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রায় অর্ধশত করাত কাল রয়েছে। যার মধ্যে মাত্র ১০/১২টি মিলের লাইসেন্স রয়েছে। করাত-কল (লাইসেন্স) বিধিমালা-২০১২ আইনে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, কোন ব্যক্তি লাইসেন্স ব্যতীত কোনো করাত-কল স্থাপন বা পরিচালনা করতে পারবেন না।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ব্রহ্মগাতী, বাখরগঞ্জ বাজার, সদর বাজার, বাবুগঞ্জ বাজার, নালুয়া বাজার, শৈলদাহ বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে এসব অবৈধ করাত কল। কোনোটি ভাঙা টিনের ঘরে, কোনোটির আবার নেই ছাউনি। নেই কোনো দুর্ঘটনা প্রতিরোধের ব্যবস্থাও। অরক্ষিত পরিবেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঠ শ্রমিকরা এসব মিলে কাজ করে। এসব ‘স’ মিল মালিকদের নিকট থেকে গোপনে মাসোহারা নেওয়া হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। যার কারণে অবৈধ জেনেও এদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়না।

চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়েদা ফয়জুন্নেছা বলেন, ইতোমধ্যে আমরা আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে আলোচনা করেছি। তারা (অবৈধ ‘স’ মিল মালিক) যদি দ্রুত সময়ে মধ্যে লাইসেন্স গ্রহণ না করে তাহলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। প্রয়োজনে মিল বন্ধ করে দেয়া হবে।

এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস,এম সজ্জাদ হোসেন বলেন, অবৈধভাবে মিল স্থাপন বা পরিচালনা করার কোন সুযোগ নেই। অবৈধ মিলের তালিকা প্রস্তুত করে বিদ্যুৎ বিভাগকে দিয়েছি এবং বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়ে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কোন কোন ক্ষেত্রে মামলা এবং জরিমান করা হচ্ছে। আমাদের এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।