এলপিজির মূল্যবৃদ্ধি, সরকারি সিদ্ধান্ত উপেক্ষিত প্রশাসন নিশ্চূপ

বিইআরসি নির্ধারিত ৮৯১ টাকার গ্যাসের সিলিন্ডার নাটোর সহ সাড়া দেশে রাখছে ৯৮০ টাকা থেকে ১০২০ টাকা।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ ৪৯ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করেছিলো (ভ্যাটসহ) ৮৯১ টাকা, কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে উৎপাদন/বিপণনকারীরাই ডিলার পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ করেছেন ৯৮০ থেকে ১০২০ টাকায়।

এই বিষয়টি নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে মোঃ রইস উদ্দিন সরকার(সাধারণ সম্পাদক,ক্যাব, নাটোর জেলা কমিটি) তিনি তার মতামত জানান ভোক্তাকণ্ঠের কাছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (BERC) ১ জুলাই ২০২১ হতে এলপিজি’র মূল্য বিশ্ব বাজারের সাথে সমন্বয় করে দাম বাড়িয়ে বেসরকারি পর্যায়ে পুনঃনির্ধারণ করেছে। ১ জুলাই ২০২১ হতে ১২ কেজি এলপিজি’র (সিলিন্ডার) ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য একলাফে ৪৯ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে (ভ্যাটসহ) ৮৯১ টাকা। তা সত্ত্বেও বাজারে কোথাও এ দামে এলপিজি বিক্রি হচ্ছে না। নাটোর সহ সাড়া দেশের বাজারে ১২ কেজি এলপিজি খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১০২০ টাকায়।

সরকারি সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উৎপাদন/বিপণনকারীরাই ডিলার পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ করেছেন কোম্পানিভেদে ৯৮০ থেকে ১০২০ টাকায়। অথচ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা (BERC) এবং আইন বাস্তবায়নকারী প্রশাসনিক দপ্তরগুলি (জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন , নিষ্ক্রিয় ! ভোক্তারা অসহায়।

মোঃ রইস উদ্দিন সরকার(সাধারণ সম্পাদক,ক্যাব, নাটোর জেলা কমিটি)

তিনি আরো বলেন, BERC কর্তৃক গত ১ জুন হতে নির্ধারিত বেসরকারি পর্যায়ে এলপিজি’র মূল্যও কার্যকর করতে সংস্থাগুলো ব্যর্থ হয়েছে। সাধারণ জনগণ তথা ভোক্তাদের প্রশ্ন এই নিষ্ক্রিয়তার রহস্য কোথায়? তাহলে জনগণের টাকায় এ ধরনের আইন এবং আইন প্রয়োগকারী/বাস্তবায়নকারী সংস্থা বা দপ্তরের প্রয়োজন আছে কি????

নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি রেখে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী ভোক্তাদের কষ্ট উপার্জিত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ধরনের প্রতারণা বন্ধে এবং ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণ সংরক্ষণে কাজ করছে ভোক্তাকণ্ঠ।

আমরা জানি, কোনো দোকানে গেলে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে পণ্য বা সেবা বিক্রয় করা ভোক্তা অধিকার-বিরোধী কাজ।

ভোক্তা অধিকার ক্ষুণ্ন হয় এমন বিষয়ে অভিযোগ করুন এবং পাশে থাকুন ভোক্তাকণ্ঠের।