দেশে বাড়ছে কোটিপতি, কর দেন ১ শতাংশের কম

গতকাল ৪ মে শনিবার, রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ৭ম জাকাত মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি দেয়া বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম, এ, মান্নান জানিয়েছেন ‘দেশে এক দিকে কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে বাড়ছে আয়বৈষম্য’।

এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) জাকাত মেলার আয়োজন করেছে। আয়োজনে ‘আয়বৈষম্য কমাতে জাকাত ও কর’ শীর্ষক এক সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম,সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুর রউফ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। 

মো. আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে পরিকল্পনা মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর দারিদ্র্যের হার ৪৪ শতাংশ থেকে ২০ অথবা ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। একই সময়ে কোটিপতিদের সংখ্যা বাড়ছে, আয়ও বাড়ছে। তবে কোটিপতি বা আয় বৃদ্ধির সঙ্গে আয়বৈষম্যও যে বাড়ছে, এটি একটি খারাপ দিক হিসেবে মন্তব্য করেন তিনি। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য (ডিসেম্বর ২০১৮) অনুযায়ী দেশে কোটিপতি আমানতকারী ৭৫ হাজার ৫৬৩ জন।

এদিকে আজ ৫ মে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দেয়া এক চিঠিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘দেশের ১ শতাংশের কম মানুষ আয়কর দেন। আর, দেশের মোট জিডিপি’র তুলনায় কর আদায় হয় মাত্র ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। কর ফাঁকি ও মওকুফ বন্ধ হলে জিডিপি ৫ শতাংশ বাড়বে, যা টাকার অঙ্কে ১ লাখ ১১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।’

একইসাথে দুদক তাঁদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, বিদ্যমান আয়কর অধ্যাদেশে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ ও অপ্রদর্শিত অর্থের মালিকদের যে সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তা অবৈধ বা অপ্রদর্শিত অর্থ অর্জনের প্রবণতাকে উৎসাহিত করতে পারে।