‘গলাকাটা’ ভাড়া বাড়ালে প্রতিহত করা হবে

যাত্রীদের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে গলাকাটা ভাড়া নির্ধারণ করা হলে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

রোববার (৭ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই ঘোষণা দিয়েছেন।

এতে বলা হয়, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বাস ও লঞ্চের ভাড়া পুণঃনির্ধারণ করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়। কিন্তু বরাবরের মত জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির একচেটিয়া সুবিধা মালিকপক্ষকে পাইয়ে দিতে যাত্রীপ্রতিনিধি বাদ দিয়ে মালিকদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ভাড়া বৃদ্ধির পায়তারা করছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গণশুনানি ব্যাতিরেকে অবৈধ পন্থায় একলাফে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ২৩ শতাংশ বাড়িয়েছে। এই অজুহাতে বাস-ট্রাক ও লঞ্চ মালিকরা এই বর্ধিত মূল্যের কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া লুটে নেওয়ার জন্য পরিবহন ধর্মঘটের নামে জনগণকে জিম্মি করে ডিজেল চালিত যানবাহনের পাশাপাশি সিএনজি, অকটেন ও পেট্রোল চালিতসহ সব ধরনের বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়।

বাস ও লঞ্চ মালিকদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে সরকার তাদের চাহিদা অনুযায়ী একচেটিয়া ভাড়া বাড়িয়ে দিতে যাত্রী প্রতিনিধি বাদ দিয়ে বাস ও লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধির আয়োজন করেছে বলে অভিযোগ করেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব।

মামাবাড়ির আবদারের মত ইতোমধ্যে মালিকরা বাসের ভাড়া ৫০ ভাগ ও লঞ্চের ভাড়া ১০০ ভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছে।

অসহায় বিআরটিএ ও বিআইডাব্লিউটিএর অনেকেই মালিকদের পকেটে ঢুকে পড়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, যাত্রীর স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে গলাকাটা ভাড়া নির্ধারণ করা হলে দেশের সংকটাপন্ন যাত্রী সাধারণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।

একই সঙ্গে ন্যায্য ও গ্রহণযোগ্য, বাস্তবসম্মত, আদায়যোগ্য ভাড়া নির্ধারণের জন্য বাস ও লঞ্চের মালিক ও সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান মোজাম্মেল হক।

যাত্রী প্রতিনিধি বাদ দিয়ে মালিক-সরকার মিলেমিশে একচেটিয়া ভাড়া বৃদ্ধির পায়তারার প্রতিবাদে যাত্রী কল্যাণ সমিতি সোমবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে।