বিক্রিত পণ্যের রশিদে অস্বচ্ছতা, রাখা হচ্ছে বেশি দাম

পণ্যের গায়ে ধার্য করা মূল্যের চেয়ে বেশি রাখছে খুলনার সুমাইয়া স্টোর। একই ধরনের অভিযোগ ঢাকার খিলগাঁও এর গোল্ডেন গেইট রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে।

খুলনার বাসিন্দা মোঃ লিমন মৃধা অভিযোগ করেন যে, তেলের বোতলের গায়ে ১৩৯ টাকা লেখা থাকলেও সুমাইয়া স্টোর তা রাখছে ১৬০ টাকা। তাছাড়া ৩২ টাকার লবণ রাখা হচ্ছে ৪০ টাকা। তিনি বলেন, MRP এর চেয়ে বেশি মূল্য রাখা অবশ্যই মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলেও তারা কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। এমনকি পণ্যের রশিদে কি বাবদ কর ধরা হয়েছে এ বিষয়ে স্বচ্ছ না অভিযোগকারী।

এদিকে গোল্ডেন গেট রেস্টুরেন্টে ২০ টাকার কোকাকোলা ২৫ টাকা রাখার অভিযোগ তোলেন তানভীর হোসেন তুষার। আবার খাবারের সাথে ১৫% ভ্যাট রাখায় আলাদা কোনো রশিদ তাকে দেওয়া হয়নি বলে জানান।

তিনি বলেন, ‘আমি তাদেরকে ভ্যাট চালান দিতে বলেছি কিন্তু তারা আমাকে বলছে যে মানি রিসিপ্টাই নাকি ভ্যাট চালান। আর কোন রশিদ দেয় নি তারা আমাকে।’

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান হোক কিংবা খাবারের দোকান, পণ্য বিক্রয়ের সময় কোন কোন বিষয়ে মূল্য ধার্য করা হচ্ছে তা জানানো অতীব প্রয়োজন। তাছাড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এ যেসব কার্যকলাপকে অপরাধ গণ্য করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে- সেবার মূল্যের তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা, ধার্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯–এর ৪০ নম্বর ধারা অনুযায়ী এটি শাস্তিযোগ্য।

আরো পড়ুনঃ প্রিয়শপের হয়রানিতে অতিষ্ঠ ক্রেতা