নামেই পুষ্টি, বাস্তবে অপুষ্টির স্বীকার

মোঃ আহসান উল হক তুহিন: ভাঙ্গা চোরা মেঝে, চারপাশে ময়লার ড্রেন, মাছির উৎপাতে টেকা দায়। নোংরা জলের মাখামাখিতে মেঝে আর ড্রেনের পার্থক্য করা মুশকিল। তারই উপর দায়সারা ভাবে রাখা বিভিন্ন পদের মিষ্টান্ন। এমনই পরিবেশে মিষ্টি, সন্দেশ, রসমালাইসহ নানা রকম মিষ্টান্ন তৈরি হচ্ছে রংপুর নগরীর বিখ্যাত মিষ্টি জাতীয় খাদ্যের জোগানদাতা ‘পুষ্টি’র কারখানায়।

রোববার দুপুরে নগরীর পরশুরাম আরপিএমপি থানাধীন জলকর ও নীলকণ্ঠ এলাকায় অবস্থিত ‘পুষ্টি’ ও ‘ফুলকলি’ নামক দুটি খাদ্য তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়।

এতে নেতৃত্ব দেন বিভাগের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। সঙ্গে ছিলেন সহকারী পরিচালক মো. আরিফ মিয়া।

অভিযান চলাকালে প্রথমোক্ত প্রতিষ্ঠানে এরূপ চিত্র ধরা পড়ে। সেখানে ভোক্তা তথা মানুষের জীবন বিপন্ন হয় এরূপ অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ করার অপরাধে ‘পুষ্টি’কে ভোক্তা অধিকার আইনের ৪৩ ধারায় নগদ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

এদিকে, ‘ফুলকলি’ নামক প্রতিষ্ঠানে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যে নিষিদ্ধ রং, সুগন্ধি এবং বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক উপাদান উপাদানকৃত খাদ্য মিশ্রণ, ব্যবহার ও ওইসব খাবার তৈরির পর বাজারজাত করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইনের ৪২ ধারায় প্রতিষ্ঠানটিকে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করেন সহকারী পরিচালক মো. আরিফ মিয়া।

অভিযানে সহায়তা করে ক্যাব রংপুর ও মেট্রোপলিটন পুলিশের রিজার্ভ ফোর্স।

এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ ও রক্ষায় কোন অসাধু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেয়া হবে না। জাতীয় স্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।