বরিশালে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বরিশালে বেশ কিছুদিন ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অপরিবর্তিত আছে। শীতকালীন সবজির দাম কমলেও বেড়েছে কাঁচামরিচের। ফলে হতাশ ক্রেতারা।

বিক্রেতারা বলছেন, দুই এক সপ্তাহের মধ্যে কোন জিনিসের দাম বাড়েনি।

তবে ক্রেতাদের মতে, আগেই তো সব পণ্যের দাম বেড়ে সাধারণের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এখন দাম না বাড়লেও পণ্য কিনতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।

নগরীর বাংলাবাজার এলাকার আল-আমিন স্টোরের মালিক আল-আমিন খান জানান, গত কয়েকদিন ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম একই রকম আছে। তবে এক-দেড় মাস আগে এসব পণ্যের দাম দেড়গুণ বেড়েছে। সে সময় ২৫০ টাকার সরিষার তেল বেড়ে হয়েছে ২৮০-৩০০ টাকা, ৩০-৩৫ টাকার খোলা আটা ৫৮ টাকা, প্যাকেট আটা ৭০ টাকা, ৪৫ টাকার ময়দা বেড়ে ৮০ টাকা, ১০০ টাকার বড় রসুন ১৩০ টাকা, ৩৫-৪০ টাকার দেশি রসুন ৮০-৯০ টাকা, ৭৫ টাকার চিনি ১১০ টাকা, ৭০/৮০ টাকার মসুর ডাল ১৩০ টাকা, ৩৪০-৩৫০ টাকার আধা কেজি গুড়া দুধে বেড়েছে ৪৫-৫০ টাকার টুথপেস্ট ৮০-৮৫ টাকা, ১০০ টাকার রুহ-আফজা এখন ১৮০ টাকা, সব ধরনের সাবান বেড়েছে ১৫-২০ টাকা, সব ধরনের ডিটারজেন্ট আগের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।

তিনি আরও জানান, একই ভাবে সব ধরনের চাল ও মসলাজাতীয় খাবার কয়েকদিনে বৃদ্ধি না পেলেও আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি সব ধরনের মাছ মাংসের দাম পূর্বের নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

নগরীর সাগরদী বাজারে আসেন শামীম। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দু-একটি ছাড়া সব পণ্যের দাম বাড়তি। কয়েক মাস আগে যে জিনিস কিনেছি ১০০ টাকায় তা এখন কিনছি ১৪০-১৫০ টাকায়। এভাবে প্রতিটি জিনিসের দামই বেড়েছে।

আরেক ক্রেতা মনির বলেন, আগে বেতন পেয়ে মাসের বাজার করতে গিয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী সবকিছু কিনতে পারতাম। বাজার সদাই করে বাকি কিছু টাকা সঞ্চয় করতে পারতাম। এখন বাজারে দেড়গুণ টাকা বেশি ব্যয় করেও চাহিদা অনুযায়ী কিনতে পারছি না।

অপরদিকে, সবজিতে দুই-চার টাকা কমেছে। সবজি কিনে ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি পেলেও বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। বিভিন্ন প্রকার সবজি ১৫-২০ টাকা কেজিতে পাওয়া গেলেও কাঁচামরিচ কিনতে হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে।

কাঁচামরিচের মূল্য বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর একমাত্র পাইকারি কাঁচামালের বাজার বহুমুখী সিটি মার্কেটের ব্যবসায়ী শামিম জানান, কাঁচামরিচ পাইকারি ৩৫-৪০ টাকা করেই বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাতে মূল্য বাড়িয়ে বিক্রি করছে।

ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী জানান, আমাদের বাজার মনিটরিং অভিযান নিয়মিত অব্যাহত আছে। কেউ অযথা মূল্য বাড়ালে তার বিরুদ্ধে জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।