ইফতারের আগে যানজটে ভোগান্তি

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: টানা তিনদিন ছুটির পর সড়কে মানুষের সংখ্যা যেমন বেশি, তেমনি যানবাহনের সংখ্যাও বেশি। রোববার সকাল থেকেই রাজধানী জুড়ে যানজট শুরু হয়। দিনশেষে ইফতারের আগে যানজটের তীব্রতা বেড়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।

রমজানের প্রথম দিন থেকে শুরু করে ছুটি ছাড়া প্রতিদিনই সকাল-বিকেল যানজটের একই দৃশ্য দেখছে রাজধানীবাসী। এরই ধারাবাহিকতা দেখা গেল আজও।

এ মাসে সরকারি অফিস সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলছে। ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অফিস চলছে বিকেল চারটা পর্যন্ত। মূলত সাড়ে ৩টার পর অফিস শেষে সড়কে যানজটের তীব্রতা বেড়ে যায়।

বিকেলে রাজধানীর এয়ারপোর্ট সড়ক, খিলক্ষেত, বনানী, মহাখালী, নাবিস্কো, সাতরাস্তা, মগবাজার, মালিবাগ, পল্টন, কাকরাইল, আবুল হোটেল, রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল, প্রগতি সরণিতে যানজট দেখা গেছে। পাশাপাশি শাহবাগ, ফার্মগেট, মিরপুর রোড, বিজয় সরণি, শ্যামলী, মিরপুর এলাকার বিভিন্ন সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

উত্তরা থেকে বনানী হয়ে মহাখালী পর্যন্ত এবং দুপুরের পর থেকে রাজধানীর সব সড়কেই তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কিছু সড়ক বলতে গেলে স্থবির হয়ে আছে।

প্রগতি সরণিতে দায়িত্বর ট্রাফিক পুলিশের সদস্য মাহফুজুল হক বলেন, আজ সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা বেশি। এছাড়া ঈদের কেনাকাটায় রিকশার ট্রিপ বেড়েছে। যেসব সড়কে রিকশা চলাচল করে, সেসব সড়কে যানজটের তীব্রতা বেড়ে গেছে। কারণ সড়কে রিকশা চলাচল করলে অন্য যানবাহনের স্বাভাবিক গতি কমিতে দেয়, ফলে যানজট বেশি দেখা যায়। আর ইফতার সবাই বাড়িতে গিয়ে ধরতে চায়, সে কারণে ইফতারির আগে সড়কে যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হলো।