আড়াই কেজির দইয়ে মেলে দেড় কেজি

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: নাটোরের বড়াইগ্রামে দই বিক্রিতে প্রতারণা ও ওজনে কম দেওয়ার অপরাধে শিলা মিষ্টি বাড়ি নামে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বনপাড়া এলাকার ঐতিহ্যবাহী শিলা মিষ্টি বাড়ি শাখায় অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান তানভীর।

তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী শিলা মিষ্টি বাড়ির বনপাড়া শাখায় ভোক্তাদের কাছ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে আড়াই কেজি দইয়ের দাম ৪২৫ টাকা নিলেও সেখানে দই পাওয়া যায় মাত্র দেড় কেজি। যার দাম ২৫৫ টাকা। আর যে মাটির হাঁড়িতে দই দেওয়া হয়, তার ওজনই প্রায় এক কেজি (৯৫৬ গ্রাম)।

তিনি আরও বলেন, অথচ ক্রেতার কাছে দই বিক্রির সময় হাঁড়ির ওজন বাবদ বাদ দেওয়া হয় মাত্র ২৪০ গ্রাম। এ অবস্থায় হিসাব করে দেখা যায়, ৪২৫ টাকায় আড়াই কেজি দইয়ের পরিবর্তে মিলছে মাত্র ২৫৫ টাকার দই। আর হাঁড়ির দাম নেওয়া হচ্ছে ১৫২ টাকা। অথচ ওই হাঁড়িটি কেনা হয়েছে মাত্র ১৮ টাকায়। দই বিক্রিতে এমন প্রতারণার বিষয়টি নজরে আসায় এ প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। তাই দই বিক্রিতে প্রতারণা ও ওজনে কম দেওয়ার অপরাধে শিলা মিষ্টি বাড়ি নামে এ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে আর যাতে কোনো ভোক্তার সঙ্গে এমন প্রতরণা না করা হয়, সে ব্যাপারে সর্তক করা হয়।

মেহেদী হাসান তানভীর বলেন, এর আগে একই বাজারের উত্তরা কসমেটিকসকে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে সাড়ে চার হাজার টাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার অপরাধে মেসার্স এআর এন্টারপ্রাইজকে পাঁচ হাজার টাকা এবং একই অপরাধে মেসার্স মহিউদ্দিন ভেটেরিনারি অ্যান্ড ফিড নামক প্রতিষ্ঠানকে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।