অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার, পেঁয়াজ ৬৫ কাঁচামরিচ ৮০ টাকা

ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধিঃ

ময়মনসিংহে অস্থিতিশীল নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। বাড়ছে সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ও গরুর মাংসের দাম। এছাড়া বেড়েছে সব প্রকার সবজির দাম।

শনিবার ও রবিবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর মেছুয়া বাজার ও শম্ভুগঞ্জ বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

মেছুয়া বাজারের সবজি বিক্রেতা দুলাল মিয়া বলেন, বাজারে সবজির আমদানি খুব কম। তাই দাম বেড়েছে।

তিনি বলেন, সিম ৪৫, কচুরলতি ৮০, ঢেঁড়স ১০০, বেগুন ৩০, টমেটো ৩৫, পেঁয়াজ পাতা ৩৫, ফুলকপি ৪০, কুমড়া ৬০ টাকা পিস, শজনে ডাটা ২০০, করলা ৯০, গাজর ৩০, মটরসুটি ৮০, শশা ৪৫, কাঁচামরিচ ৮০, শিমের বিচি ১০০, পাতাকপি ৩৫, বরবটি ১২০, কাঁচকলা ৩০, লেবু ২০ থেকে ২৫, মুখি কচু ৬০, ছোট মিস্টি কুমড়া ৫০, লাউ ৬০, পেঁপে ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

একই বাজারের মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজে ২০ টাকা ও ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের কেজিতে ১০ টাকা করে বেড়েছে।

তিনি বলেন, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৫০, দেশি পেঁয়াজ ৬৫, দেশি রসুন ৪০, ইন্ডিয়ান রসুন ১১০, আদা ৭০, আলু ২০ ও জাম আলু ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

ওই বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. সুমন মিয়া বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে সোনালী মুরগি ২০, কক ও লেয়ার মুরগির কেজিতে ১০ টাকা করে বেড়েছে।

তিনি বলেন, ব্রয়লার ১৫০, সোনালী ২৮০, কক ২৬০, লেয়ার ২৮০ কেজি বিক্রি হচ্ছে। এদিকে দেশি মুরগির ডিম ৫৫, হাঁসের ডিম ৫৫, ফার্মের মুরগির ডিম ৩৮ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।

মাংস মহালের রাজিব মিয়া বলেন, খাসির মাংস কেজিতে ৫০ টাকা কমে ৮৫০ ও গরুর মাংস কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মেছুয়া বাজারের মাছ বিক্রেতা বিল্লাল মিয়া বলেন, বাজারে মাছ কম থাকলেই বেড়ে যায় ও আবার মাছের আমদানি বেড়ে গেলে দাম কমে যায়।

তিনি বলেন, চিংড়ি এক হাজার, রুই মাস ২৪০, কাতল ২৮০, মলা ৩৬০, পুটি মাছ ২০০, শোল মাছ ৫০০, ফলই মাছ ৪০০, পাবদা ৩০০, টেংরা ৩৫০, টাকি ৩০০, পাঙ্গাস ১৫০, সিলভার কার্প ২৫০, গ্লাস কার্প ২২০, বাউশ ২৫০, কারপিও ২৫০, বাইল্লা মাছ ৫০০, মাসুল মাছ ৩৫০, রাজপুটি ২০০, গলদা চিংড়ি ৭০০, শিং মাছ ৪০০, মাগুর ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

একই বাজারের জঙ্গলবাড়ি স্টোরের মালিক বুলবুল আহমেদ বলেন, ডাল ও আটার দাম বস্তা প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে বেড়েছে। তবে আমরা আগের দামেই বিক্রি করছি।

তিনি বলেন, দেশি মসুর ডাল ১২০, ফুটবল মসুর ডাল ১০০, ভাঙ্গা মসুর ডাল ৯০, ভাঙ্গা মাসকলাই ১২০, দেশি মাসকলাই ৮০, বারমা মাসকলাই ৯০, মুগডাল ১২০, ছোলা বুট ৭০, মটর ৫০, অ্যাংকার ৫৫, চিনি ৭৫ টাকা, খোলা আটা ৩৫, প্যাকেট আটা ৪০ কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে শম্ভুগঞ্জ বাজারের রাজলক্ষী স্টোরের বিক্রেতা ভোলানাথ দাস বলেন, সয়াবিন তেল গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন ১৯০, পামওয়েল ও কোয়ালিটি ১৭৫ থেকে ১৮০ ও বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।