ইভ্যালির দেনা ২০৬ কোটি টাকা!

পণ্য সরবরাহকারীদের (মার্চেন্ট) কাছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দেনা রয়েছে ২০৫ কোটি ৮৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। 


সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের পরিচালকের কাছে ইভ্যালির পক্ষ্য থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে ।


বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, যে কোনো ব্যবসায়ে ক্রেডিট সুবিধা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং তা যুগ যুগ ধরে প্রতিটি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমান। ইভ্যালির সঙ্গে সব সরবরাহকারীর ক্রেডিট-সংক্রান্ত চুক্তি বিদ্যমান রয়েছে। ইভ্যালি সরাসরি উৎপাদনকারী ও আমদানিকারকদের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে।


সরবরাহকারীরা গড়ে ন্যূনতম ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হারে মুনাফা অর্জন করার মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করেন। তাই যে পরিমাণ দেনা হিসাবে আছে তা অতি স্বাভাবিক এবং গ্রহণযোগ্য একটি পরিমাণ।


ইভ্যালির তথ্যানুযায়ী, গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত কোম্পানিটির মোট দায় ৫৪৪ কোটি টাকা। তাদের স্থাবর সম্পত্তি ১০৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আর অস্থাবর সম্পত্তি ৪৩৮ কোটি টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে ৪২৩ কোটি টাকা হচ্ছে ইভ্যালির ব্র্যান্ড মূল্য, আর ১৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা হচ্ছে অদৃশ্যমান সম্পত্তি।


ইভ্যালি বলছে, গত ১৫ জুলাই এর সম্পদ ও দায়ের হিসাব অনুযায়ী গ্রাহকের কাছে মোট দায় ৩১০ কোটি ৯৯ লাখ ১৩ হাজার ৪০৭ টাকা, যা পরবর্তী পাঁচ মাসের মধ্যে ব্যবসায়িক স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা ও কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ লাভের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে।


এর আগে গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত মার্চেন্টদের কাছে দেনার পরিমাণ জানতে চেয়ে ইভ্যালিকে চিঠি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পরে ১১ আগস্ট দেওয়া চিঠির জবাবে বৃহস্পতিবার ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে তাদের দেনার পরিমাণ জানায়। গত বৃহস্পতিবার ইভ্যালির দেওয়া জবাবটি ছিল তৃতীয় পর্যায়ের।


বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইভ্যালিকে গত ১ আগস্টের মধ্যে তিন ধরনের হিসাব দিতে বলেছিল। এগুলো হচ্ছে কোম্পানির সম্পত্তি ও দায়; গ্রাহকদের কাছে দায়, মার্চেন্টদের সংখ্যা ও তাদের কাছে দায় এবং দায় পরিশোধের পরিকল্পনা।
ইভ্যালি জবাব না দিয়ে ছয় মাসের সময় চেয়ে গত ১ আগস্ট আবেদন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয় তা না মেনে ১১ আগস্ট আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠক ডাকে। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইভ্যালিকে ১৯ ও ২৬ আগস্ট এবং ২ সেপ্টেম্বর হিসাব দিতে বলা হয়।