জমির মৌজার রেট অনুযায়ী হবে পানির বিলঃ তাকসিম এ খান

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক

জমির মৌজার রেট অনুযায়ী ওয়াসার বিল নির্ধারণ করা হবে। চলতি বছরের জুলাই মাসে পাইলট প্রকল্প চালু হবে।

বাংলানিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান।

তিনি বলেন, সরকারের অত্যন্ত দায়িত্বশীল জায়গা থেকে ভালো সাজেশন পেয়েছি।

আমি এতদিন বলতাম, গুলশান-বনানী-এ শব্দগুলো। আমাকে বলা হয়েছে, তুমি অনেক কিছু জানো না।
ঢাকা শহরে মৌজা রেট আছে। রাজধানীতে ঘোষিত ও সরকার নির্ধারিত মৌজা অনুযায়ী জমি বিক্রি হয়।

রাজধানীর ২০ মৌজা বা দাগ নম্বর আছে। এ মৌজাগুলোর একটা জমি বিক্রির রেট আছে। একেক জায়গায় একেক রেট। কোনো জায়গায় খুব কম আবার অন্য জায়গায় রেট অনেক বেশি। আমরা মৌজা রেটের মধ্যে যাচ্ছি। কথা হলো এলাকা ভিত্তিক পানির রেট নির্ধারণ করা হচ্ছে। এ কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। পাইলট প্রজেক্টের কাজ আমরা দ্রুত করতে চাচ্ছি। চলতি বছরের জুলাই মাসে পাইলট প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

তাকসিম এ খান বলেন, দাশেরকান্দি সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এশিয়ার মধ্যে অন্যতম বড় প্লান্ট। হাতিরঝিলের সমস্ত বর্জ্য বাইপাস করে ওখানে নিয়ে ঠিক করার কথা। এ প্লান্টের কাজ প্রায় শেষ। এখন ফাইনাল চেকিং ও ট্রায়াল ট্রিটমেন্ট চলছে। প্রধানমন্ত্রী অনুমতি দিলে জুলাই-আগস্টে চালু হবে প্রকল্পটি। মজার বিষয় হলো, দাসেরকান্দি ট্রিটমেন্ট প্লান্টের খরচ কমেছে। বাড়েনি এক পয়সাও। করোনার কারণে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হতে এক বছর দেরি হয়েছে। প্রায় সময় মতোই শেষ হয়েছে এ প্রকল্পের কাজ।

তিন বলেন, আমরা সরকারের কাছে পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে রেখেছি। সরকার যখন সিদ্ধান্ত নেবে, তখনই বাস্তবায়ন হবে। ২০ শতাংশ পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি।

তাকসিম এ খান: ওয়াসা রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ বর্ষাকালে করে না। বড় কাজগুলোও বর্ষাকালে হয় না। ওয়াসার ডিএমএ’র কাজ ২০১২ সাল থেকে শুরু হয়েছে। এটা সব সময় চলে। ডিএমএ’র কাজে ওয়াসা ৩০ শতাংশ রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে। আমরা সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই কাজ করি।

দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান প্রসঙ্গে তাকসিম এ খান বলেন, আপনার কি মনে হয়, ওয়াসা দুর্নীতিবাজ? আপনি যদি মনে করেন ওয়াসা দুর্নীতিবাজ, হ্যাঁ তাহলে উত্তর আপনার কাছে আছে। যদি দুর্নীতিবাজ না মনে করেন, তাহলেও আপনার কাছে উত্তর আছে। দুষ্টু লোক সব জায়গায় থাকে। আমাদের মধ্যেও আছে। কারো না কারো স্বার্থে আঘাত হয়, দেশে যখন উন্নয়ন হয়। এখানেও তাই। আগে কেউ না কেউ ওয়াসার পানি বিক্রি করে খেত। আমি পানি বিক্রি করা বন্ধ করলাম। তিনি কি আমার ওপর খুশি থাকবেন? না রাগ করবেন? তিনি তো আমাকে ন্যাচারালি খারাপ মানুষ বলবেন।

খবরঃ বাংলানিউজ