সন্ধ্যায় হানা দিতে পারে কালবৈশাখীসহ ঝড়ো-বৃষ্টি

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্কঃ
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন হচ্ছে। ঈদের দিন বৃষ্টি হতে পারে, এমন পূর্বাভাগ আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। হয়েছেও তা-ই।

ঈদের দিন সকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড় এবং মৃদু থেকে ভারি বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে দেশের অনেক স্থানে ঈদের জামাত বিঘ্নিত হয়েছে। ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে মুসল্লিদের।

এরইমধ্যে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঈদের দিন দুপুর, বিকেল বা সন্ধ্যায়ও দেশের বিভিন্ন জেলায় কালবৈশাখী ও বৃষ্টি হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত এবং রাতের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে।

মঙ্গলবার (৩ মে) সকাল থেকে কালবৈশাখী ঝড় আর বৃষ্টির কারণে দেশের অনেক অঞ্চলে ঈদ জামাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিরা ভোগান্তিতে পড়েন।

এদিন দেশের ১৬টি অঞ্চলের ওপর দিকে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে। এজন্য এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা ছিলো। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর কিছু কিছু এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল ৯টার কিছু পরে কালো মেঘে যেন সন্ধ্যা নামে এ নগরে। এরপরই শুরু হয় কালবৈশাখী, বজ্রপাত সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৃষ্টি অনেকটাই থেমে যায়, তবে আকাশ মেঘলা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, সকাল থেকে ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল বিভাগে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুরে চট্টগ্রামের দিকে কালবৈশাখী ও বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, মঙ্গলবার রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

এসময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ। আগামীকাল বুধবারও এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান বজলুর রশীদ।

অপরদিকে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে বলেন, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।