নতুন কাপড়ের আর্ডারে ছেঁড়া কাপড় ডেলিভারি, মাসে আয় ২০ লাখ

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:

১৭টি ফেসবুক পেজ খুলে চকচকে শাড়ি-থ্রি পিসের বিজ্ঞাপন দিয়ে কুরিয়ারের মাধ্যমে ছেঁড়া ও পুরোনো কাপড় ডেলিভারি করছিল একটি চক্র।

চক্রটি এসএ পরিবহনের বুকিংম্যান ও লেবারদের মাধ্যমে প্রতিটি বুকিংয়ে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বুকিং করতো। অনলাইনে মানুষকে কম দামে এসব পণ্যের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে আসা চক্রটির পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের লালবাগ বিভাগ।

ডিবি জানায়, প্রতারণা করে চক্রটি নিম্নমানের পণ্য দিয়ে প্রতি মাসে প্রায় ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা আয় করতো৷ ৫-৬ বছর ধরে তারা এ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত।

গ্রেফতাররা হলো- মো. বাপ্পি হাসান (২৪), মো. আরিফুল ওরফে হারিসুল (১৯), মো. সোহাগ হোসেন (২২), মো. বিপ্লব শেখ (২৫) ও নুর মোহাম্মদ (২৮)।

গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ব্যবহার অযোগ্য ও অতি নিম্নমানের পুরাতন ও ছেঁড়া শাড়ি, লেহেঙ্গা, থ্রি-পিসসহ বিভিন্ন পণ্য উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিবি লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রাজীব আল মাসুদ।

তিনি বলেন, অনলাইনে প্রতারণা চক্রের দলনেতাসহ পাঁচজনকে রাজধানীর হাজারীবাগ থানা এলাকার পশ্চিম ধানমণ্ডি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাজারীবাগ থানার পশ্চিম ধানমন্ডির একটি বাড়িতে বসে এই অনলাইন প্রতারক চক্রের সদস্যরা ফেসবুকে পেজ খুলে ভালো মানের পণ্যের আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দেয়। বিজ্ঞাপন দেখে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ডার আসে। চক্রটি অর্ডার পাওয়ার পর মানুষকে নিম্নমানের, ব্যবহারের অযোগ্য ও নষ্ট মালামাল কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠায়।

গ্রেফতাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা একটি পেজ কিছুদিন ব্যবহার করার পর বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে আবার নতুন পেজ খুলে একইভাবে প্রতারণা করে। প্রতারণা করে চক্রটি নিম্নমানের পণ্য দিয়ে প্রতি মাসে প্রায় ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা আয় করতো৷ ৫-৬ বছর ধরে তারা এ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত।

এসএ পরিবহনের বুকিংম্যান ও লেবারদের মাধ্যমে প্রতিটি বুকিংয়ে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বুকিং করতো বলেও জানিয়েছে গ্রেফতাররা। তাদের বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে তারা এমন প্রতারণা করেও কেন আইনশৃংখলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি ডিবি লালবাগ বলেন, অল্প টাকার প্রতারণায় অনেকেই থানায় যেতে চাননা, বিষয়টি ঝামেলা মনে করেন।