পণ্যের দাম না বাড়িয়েও সংকট মোকাবিলা সম্ভব: সিডিপি

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক :

দেশে বাজার ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলার অভাব, চাহিদা-জোগান সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকাসহ বেশ কিছু কারণে পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি।

দেশের মোট অর্থনীতির ৩০ শতাংশই বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

এর মধ্যে আমদানি, রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও বিদেশি সহায়তা অন্যতম। ফলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, জ্বালানি তেলের দাম বাড়াসহ সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলো বাংলাদেশে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। এই সংকট মোকাবিলায় চলতি অর্থবছরে অতিরিক্ত ৩২ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা লাগবে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ব্যয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করলেও কোনো পণ্যের দাম না বাড়িয়ে এই সংকট মোকাবিলা সম্ভব।

রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি কোন পথে’ শীর্ষক আলোচনাসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম. তামিম এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) অধ্যাপক আহসান হাবিব।

অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, দেশের অর্থনীতির বড় ঝুঁকি হচ্ছে—একদিকে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, অন্যদিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমছে। করোনা মহামারি থেকে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান ও দরিদ্র মানুষের নয়, দ্রুত পুনরুদ্ধার এসেছে বড় শিল্পগুলোর ক্ষেত্রে। টিসিবির ট্রাকের পেছনে যে বড় লাইন, সেটিই বলে দেয় নিম্ন আয়ের মানুষের কতটা রিকভারি হয়েছে।

সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি বহিঃখাত অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ফলে বৈশ্বিকভাবে বিভিন্ন পণ্যের দাম ওঠানামার সঙ্গে বাংলাদেশও সম্পর্কযুক্ত। দেশের ব্যালান্স অব পেমেন্টে গত সাত মাসে যে অবস্থায় দাঁড়িয়েছে, তাতে এত বড় চ্যালেঞ্জ আর আসেনি। জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত লেনদেনের ভারসাম্য ছিল মাইনাস দুই বিলিয়ন ডলার, যা তার আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ছয় বিলিয়ন ডলার। এর অর্থ হলো প্রায় আট বিলিয়ন ডলার কমেছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। এখানে খাদ্যপণ্যের দাম অত্যন্ত বেশি।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, মিনিকেট, পাইজাম ও মোটা চালের দামই ঊর্ধ্বমুখী। থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের চেয়ে বাংলাদেশে চালের দাম বেশি।