লক্ষ্মীপুরে ভোক্তা-অধিকার রক্ষায় সরকারি প্রতিষ্ঠান ভোক্তাবান্ধব নয়

পারভীন হালিম: বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে, কিছুদিনের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের কার্যক্রম শুরু হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা যদি সীমিত থাকে বা স্মার্ট না হয় তাহলে ভোক্তারা কিভাবে স্মার্ট হবে?

লক্ষ্মীপুর জেলায় সরকারি ভোক্তা-অধিদপ্তরের কার্যক্রম সীমিত বিধায় ভোক্তারা খুবই অসচেতন। ভোক্তা যদি স্মার্ট বা সচেতন না হয় তখন ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বাড়াতে পারে। আর সেই সঙ্গে কিছু মিডিয়া এমন ভাবে তা প্রচার করে যাতে করে অসচেতন ভোক্তারা বেশী টাকা দিয়ে অধিক দ্রব্য ক্রয় করে থাকে, এতে করে জিনিষপত্রের অপচয় হয়। অন্যদিকে দারিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকজন সমস্যায় পড়েন।

ব্যবসায়ী রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে না সরকার। এর যাতাকলে পড়ে মধ্যবিত্ত শ্রেণী। বিগত ছয়/সাত বছর ধরে লক্ষ্মীপুর জেলায় বেসরকারি ক্লিনিক, রেষ্টুরেন্ট, কিন্ডার গার্ডেন স্কুল, মাদ্রাসা, হেফজখানা ইত্যাদি অনেক বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি এসব বৃদ্ধি পাওয়ার বিরুদ্ধে বলছিনা, আমার কথা হলো এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মান সম্পর্কে। এতোগুলো ক্লিনিক হয়েছে কিন্তু অসুস্থ ব্যক্তিরা ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন না। আবার দক্ষ চিকিৎসকও নেই। নার্স, আয়া, বয় থেকে শুরু করে কারও প্রশিক্ষণ নেই।

রেষ্টুরেন্টগুলোতে প্রতিটি খাবার অস্বাস্থ্যকর, অপরিচ্ছন্ন। ভেতরের অবস্থা অতিনাজুক। যারা খাবার সাপ্লাই করে তাদের কোনো প্রকার ট্রেনিং নেই।

এবার আসি মাদ্রাসা, হেফজখানা, কিন্ডারগার্ডেন বা স্কুলের কথায়, সবখানে গদবাধা পাঠদান করা হয়। অভিভাবক, শিক্ষকদের কোনো নৈতিকতা নেই। কোমলমতি শিশুরা কি শিখবে? একটা দেশের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যদি নাজুক হয়, সেই দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম স্মার্ট হবে, তা আশা করি কিভাবে?

পারভীন হালিম, জেলা সেক্রেটারী, কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), লক্ষ্মীপুর।