চিন্তা নেই স্বাস্থ্যবিধির, চলছে আমদানি-রপ্তানি

বন্দর কার্যালয় এলাকায় এলোমেলোভাবে ঘুরছেন ভারত ও ভুটান থেকে আসা চালকেরা। বিজিবি চেকপোস্ট পার হয়ে কাস্টম চেকপোস্টে এসে থামছে ভারতীয় ও ভুটানের পণ্যবাহী ট্রাক। সেখানে চালকেরা নেমে জমা দিচ্ছেন কাগজপত্র। এরপর পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে প্রবেশ করছেন বন্দরের ভেতরে।

২৭ এপ্রিল পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।লোকজনের কাছে মাস্ক থাকলেও অনেকেরই তা ঠেকেছে থুতনিতে। কেউবা রেখেছেন পকেটে। যেখানে–সেখানে জটলা বেঁধে দিচ্ছেন আড্ডা। প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার পাল্লা দিয়ে বাড়লেও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে তেমন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা না থাকায় পুরো পঞ্চগড় জেলা ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। এ স্থলবন্দর এলাকায় বাংলাদেশি ও বিদেশি চালকদের পাশাপাশি অন্য লোক ।

লোকজনের কাছে মাস্ক থাকলেও অনেকেরই তা ঠেকেছে থুতনিতে। কেউবা রেখেছেন পকেটে। যেখানে–সেখানে জটলা বেঁধে দিচ্ছেন আড্ডা। প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার পাল্লা দিয়ে বাড়লেও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে তেমন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা না থাকায় পুরো পঞ্চগড় জেলা ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।

করোনার সংকটে গত বছরের ৩০ মার্চ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন দিয়ে মানুষ পারাপার বন্ধ করে দেয় সরকার। তবে ট্যুরিস্ট ভিসা বন্ধ থাকলেও শর্ত সাপেক্ষে ভারত ও নেপালের শিক্ষার্থী এবং ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ভারতে যাতায়াত করতেন। তবে কোনো বাংলাদেশি এই বন্দর দিয়ে ভারতে যেতে পারতেন না। এবার করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় আবার গতকাল সোমবার থেকে এই ইমিগ্রেশন দিয়ে মানুষ পারাপার একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের লকডাউন শুরুর পর গত ৩০ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের ১৬৫ জন নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। এ ছাড়া এই পথে ৩৫২ জন ভারত ও নেপালের নাগরিক ভারতে গেছেন।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিমিডেট কর্তৃপক্ষের দাবি, বিদেশি চালকেরা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া গাড়ি থেকে নামবেন না এবং দ্রুত পণ্য খালাস করে আবার ফেরত যাবেন, এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সময় তাঁদের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা এবং তাঁদের জন্য পৃথক শৌচাগারের ব্যবস্থা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁদের হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ বন্দর এলাকায় ঘোরাফেরা, মানুষের সঙ্গে না মিশতে মাইকিং করা হচ্ছে।