এক ডিমে লাভ ২ টাকা ৭০ পয়সা

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে ডিম এবং মুরগির দাম। ব্যবসায়ীরা প্রতিটি ডিমে ২ টাকা ৭০ পয়সা করে লাখ করছে বলে প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

ক্রয় মূল্যের ভিত্তিতে নয় বরং চাহিদা অনুযায়ী ডিমের দাম নির্ধারণ করে ব্যবসায়ী নেতারা।

জানা যায়, ৭ আগস্ট প্রতিটি ডিমের ক্রয় মূল্য ছিল ৯ টাকা ৪০ পয়সা এবং ২০ পয়সা লাভে বিক্রি হয়েছে ৯ টাকা ৬০ পয়সা দরে। ১৭ আগস্ট, ১০ দিন পরে প্রতিটি ডিমের ক্রয় মূল্য ছিল ৯ টাকা ১০ পয়সা এবং বিক্রি মূল্য ছিল ১১ টাকা ৮০ পয়সা। এক্ষেত্রে প্রতিটি ডিমে লাভ করা হয়েছে ২ টাকা ৭০ পয়সা যা অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ভোক্তা অধিদপ্তর।

শনিবার (২০ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল বগাবাড়ি বাজার এলাকায় ডিমের আড়তে অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর।

অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল ও প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ হাসানুজ্জামান।

বেশি দামে ডিম বিক্রি, ডিম মজুদ করে বাজারে সংকট তৈরি, ডিম ক্রয়ের ক্যাশ মেমো সংরক্ষণ না করা, বিক্রির ক্যাশ মেমো প্রদান না করা ও মূল্য তালিকা না রাখাসহ নানা অভিযোগে আসিফ ডিমের আড়তকে এক লক্ষ টাকা, এস জে এগ্রো ডিমের আড়তকে এক লক্ষ টাকা এবং ফয়সাল এন্টারপ্রাইজকে দুই লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ডিমের বাজারে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বৃদ্ধি করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ায় ডিমের আড়তে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিভিন্ন অপরাধে তিনটি আড়তকে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গত ১৩ আগস্ট কাজী ফার্মে উৎপাদিত সব ডিম প্রস্তাবিত দরের চেয়ে বেশি দর হাঁকিয়ে নিলামের মাধ্যমে ক্রয় করে অতি মুনাফা লাভের আশায় বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। এই প্রতিষ্ঠানে ডিম ক্রয়/ বিক্রির কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি, এমনকি প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্স ৩০ জুন ২০২২ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। এ সকল অপরাধে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ফয়সাল এন্টারপ্রাইজের সকল প্রকার কার্যক্রম জনস্বার্থে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

‘আগামীকাল রোববার সকাল ১০টায় অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কেন তাঁর প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

এ ছাড়া উত্তরা পশ্চিম থানায় অবস্থিত জোহরা মার্কেটে চারটি প্রতিষ্ঠানকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা আরূপ এবং আদায় করা হয়।

মূল্য তালিকা না থাকা, প্রমাণ বিহীন অতিরিক্ত মূল্যে ডিম বিক্রয় করা সহ বিভিন্ন অপরাধে তিনটি মুদি দোকান এবং একটি মুরগির দোকানকে এই জরিমানা করা হয়।

উত্তরা পূর্ব থানার বিড়িয়ার বাজারে অভিযান পরিচালনা করে দুই জন ডিমের পাইকারি বিক্রেতাকে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ এবং আদায় করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার এবং মোঃ মাগফুর রহমান।