মানিকগঞ্জে ৩ অবৈধ ক্লিনিককে জরিমানা, ৫টির কার্যক্রম বন্ধ

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: মানিকগঞ্জে তিনটি অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল ও রোগনির্ণয় কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও সাটুরিয়া উপজেলায় একটি, ঘিওরে দুটি ও শিবালয়ে দুটি অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রোববার (২৯) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় যৌথভাবে এসব প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন। দুটি প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জরিমানা করে।

জরিমানাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- জয়রা এলাকার আল-মদিনা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, উত্তর সেওতা কাঁচা বাজার সংলগ্ন ল্যাব ২৪ এবং ওয়্যারলেস গেট এলাকার পালস ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সারাদেশের সব অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই সময়ের পর নিবন্ধনহীন কোনো হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে আজকে বিকেল ৩টা থেকে অভিযান শুরু করে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও জেলা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এতে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি ডা. রওনক মাশরাফি, ডা. কাজী রিশাত, ডা. মোস্তফা কাদের, সদর থানা পুলিশ এবং ৩৮ আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।

শুরুতে জয়রা আল-মদিনা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধন না নিয়েই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট দিয়ে রোগ নির্ণয় করা হচ্ছিল। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিলুফা ইয়াসমিন প্রতিষ্ঠানের মালিক আরশেদ আলীকে ৭০ হাজার জরিমানা করেন। এরপর ল্যাব ২৪ রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে অভিযান চালানো হয়। সেখানেও মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নিলুফা ইয়াসমিন প্রতিষ্ঠানটির মালিক জাহাঙ্গীর হোসেনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমান করেন।

এরপর ওয়্যারলেস গেট এলাকায় পালস ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে অভিযান চালায় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়। রোগ নির্ণয় কেন্দ্রটিতে মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট পাওয়ায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। এ ছাড়াও রোগ নির্ণয় কেন্দ্রটি সাময়িক সিলগালা করা হয়।

এ দিকে সাটুরিয়া উপজেলা সদরে সাটুরিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ঘিওরে কামরুন্নাহার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ঘিওর আধুনিক হাসপাতাল এবং শিবালয়ে আরিচা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যাক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে এসব অবৈধ ক্লিনিক ও রোগ নির্ণয় কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়।

মানিকগঞ্জেরে সিভিল সার্জন মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে এসব অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।