৭৫ লাখ মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইনে (মঙ্গলবার) ৭৫ লাখ মানুষকে বুস্টার (তৃতীয়) ও দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে টিকা কার্যক্রমের সার্বিক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ইতোমধ্যেই দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৬ দশমিক ০৫ শতাংশ প্রথম ডোজ, ৭০ দশমিক ৫ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ ও ১৭ দশমিক ৯ শতাংশকে বুস্টার (৩য়) ডোজ প্রদান করেছে। যা সারা বিশ্বে সমাদৃত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ও তুলনামূলক কম বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে তাই মঙ্গলবার দেশব্যাপী একটি “কোডিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন” আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। এক দিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য এই ক্যাম্পেইনে প্রায় ৭৫ লক্ষ মানুষকে বুস্টার (৩য়) ও ২য় ডোজ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘এই ক্যাম্পেইন চলাকালে দেশের সকল সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ইত্যাদির পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলাসমূহের ওয়ার্ড পর্যায়েও কোভিড-১৯ ড্যাকসিন প্রদান করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘একদিনে প্রায় ৭৫ লক্ষ মানুষকে সুষ্ঠু ভাবে ভ্যাকসিন প্রদানের লক্ষ্যে সারাদেশে প্রায় ১৬ হাজার ১৮১টি টিকা কেন্দ্রের (৬২৩টি স্থায়ী ও ১৫ হাজার ৫৫৮টি অস্থায়ী কেন্দ্র) ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্যাম্পেইনে একযোগে প্রায় ৩৩ হাজার ২৪৬ জন টিকাদান কর্মী ও ৪৯ হাজার ৮৬৯ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্যাম্পেইনে দ্বিতীয় ডোজ প্রাপ্তির মাস অতিবাহিত হয়েছে এরূপ ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী বুস্টার (৩য়) ভোজ ও প্রথম ডোজ প্রাপ্তির নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হবার পরও যারা দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেননি এরূপ ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে পারবেন।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের টিকা নিশ্চিত করে সার্বিক সংক্রমণ হার হ্রাস করার মাধ্যমে জনজীবন ও দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে স্থিতিশীল করতে আমরা সফল হয়েছি। এরই ফলশ্রুতিতে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও দীর্ঘদিন পর খুলে দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘চলমান মহামারী নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকারের এই প্রয়াস বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে। অচিরেই আমরা দেশের ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদেরকেও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা হবে। সরকার এ বিষয়ে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’