আবারও বেড়েছে ১০ পণ্যের দাম

নতুন করে বেড়েছে আটা, ময়দা, ডাল, পেঁয়াজ, আদা, হলুদ, এলাচ, সয়াবিন, মুরগি ও চিনির দাম।

ব্যাবসায়ীরা জানান, দেশি পেঁয়াজ আগের মতোই ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহে যে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ছিল ৪৫ টাকা, এখন সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। আর যে পেঁয়াজের দাম ছিল ৪০ টাকা, এখন সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। লকডাউন কড়াকড়ি হওয়ার খবরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্যাকেট আটার দাম বেড়েছে কেজিতে এক থেকে দুই টাকা, আর খোলা ময়দার দাম বেড়েছে কেজিতে চার থেকে পাঁচ টাকা, জানান খুচরা ব্যবসায়ীরা।

মুরগির বাজারে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। আর সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা।

মসুর ডালের দাম ছিল ৮৫ টাকা কেজি। এই সপ্তাহে সেই মসুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে মসুর ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। টিসিবির হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে মসুর ডালের দাম বেড়েছে তিন শতাংশের মতো।

প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয়েছিল ৭০ টাকা কেজি দরে। এখন সেই চিনি কেজিতে দুই টাকা বেড়ে ৭২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহে কেজিতে ১০০ টাকা বেড়েছে এলাচের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহে তারা যে এলাচ ৩ হাজার ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। এই সপ্তাহে সেই এলাচের দাম বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৩৫০ টাকা।

সবজির বাজারে দেখা যায় বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পাকা টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এক কেজি কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।