অবশেষে দেশে ট্রায়ালের অনুমোদন চীনা টিকার

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল অব দ্য বায়োলজি চাইনিজ একাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্সের (আইএমবিক্যামস) ভেরো সেল নামের একটি টিকার ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)।

গতকাল বুধবার বিএমআরসির পরিচালক অধ্যাপক ডা. রুহুল আমীন স্বাক্ষরিত এ অনুমোদনের চিঠি আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণাকেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ড. ফেরদৌসী কাদরী বরাবর পাঠানো হয়েছে।

তবে দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের টিকা বঙ্গভ্যাক্সকে এখনো সরাসরি মানুষের শরীরে পরীক্ষার (হিউম্যান ট্রায়াল) অনুমতি দেওয়া হয়নি।

আইসিডিডিআরবি সূত্র জানায়, গত ডিসেম্বরে আইএমবি ক্যামসের সঙ্গে তাদের ট্রায়ালের জন্য চুক্তি হয়। চুক্তির আগে সরকারের কাছ থেকে তারা প্রাথমিক প্রয়োজনীয় অনুমতিও নেয়। এর পরই তারা বিএমআরসির কাছে ট্রায়ালের জন্য আবেদন করে।

গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বলেন, চুক্তি অনুযায়ী টিকা দিতে ব্যর্থ হলে অবশ্যই টাকা ফেরত দিতে হবে।

কয়েকদিন আগেই দেশে একসঙ্গে তিনটি টিকা মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানায় বিএমআরসি। যেখানে গত বছর ওই তিন প্রতিষ্ঠানকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়ারও কথা ছিল।

আইসিডিডিআর’বির সঙ্গে আইএমবি ক্যামসের প্রায় ৬০ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে হয়। এর ২৫ শতাংশ টাকা চীনের এ প্রতিষ্ঠানটি আইসিডিডিআর’বিকে পাঠিয়েও দিয়েছে ট্রায়ালের জন্য।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘ট্রায়াল সফল হলে টিকার প্রাপ্যতা নিশ্চিত হবে। আরও আগেই এ অনুমোদন দেওয়া উচিত ছিল সরকারের। একেবারে কিছু না হওয়ার চেয়ে দেরিতে শুরু হওয়াও ভালো। ট্রায়াল প্রক্রিয়ায় স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা যুক্ত থাকবেন। ফলে ভবিষ্যতে টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে দক্ষতা তৈরি হবে।’