করোনায় একদিনে শনাক্ত এক হাজারের অধিক, নতুন রেকোর্ডের দিনে মৃত ১১

ভোক্তাকন্ঠ প্রতিনিধি: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন করে সর্বোচ্চ আরো এক হাজার ৩৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা পজিটিভ মোট শনাক্ত হলেন ১৫ হাজার ৬৯১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ‌আরও ১১ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৩৯ জনে।

আজ সোমবার দেশের কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য ব্রেফিংয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১১ জনের মধ্যে পাঁচ জন পুরুষ ও ছয় জন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে একজন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে একজন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে চার জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে দু’জন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে দুজন এবং ২১-৩০ বছরের মধ্যে একজন।

নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৫২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন দুই হাজার ৯০২ জন। দেশে করোনায় সুস্থতার হার ১৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৩ শতাংশ।

তিনি জানান, মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে আট জন, চট্টগ্রাম বিভাগে দু’জন এবং রংপুর বিভাগে একজন রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ঢাকা শহর ও ঢাকা বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।

নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সাত হাজার ২৬৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ৩৭টি ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে সাত হাজার ২০৮টি নমুনা। এ পর্যন্ত মোট এক লাখ ২৯ হাজার ৮৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ১৮৩ জনকে, ছাড়া পেয়েছেন ৬২ জন। এখন দুই হাজার ৩৬ জন আইসোলেশনে আছেন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ১৭৬ জন। মোট আইসোলেশন শয্যা আছে আট হাজার ৬৩৪টি। আরও শয্যা তৈরির কাজ চলছে। ঢাকা শহরের বাইরের হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ শয্যা আছে ৩২৯টি, ডায়ালাইসিস ইউনিট আছে ১০২টি।

তিনি বলেন, ‘নতুন আরও একটি করোনা পরীক্ষার ল্যাব সংযোজন করা হয়েছে। নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজ ল্যাব করোনা শনাক্তের কাজে যুক্ত হয়েছে। আরও কয়েকটি ল্যাব সংযোজনের কাজ প্রক্রিয়াধীন। দুই-চার দিনের মধ্যে আরও ল্যাব সংযোজন করতে পারবো।’

তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে দুই হাজার ৩৬০ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ৪৩৯ জন। এ পর্যন্ত দুই লাখ ১২ হাজার ৯৮৩ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে মোট ছাড়া পেয়েছেন এক লাখ ৭৬ হাজার ৬৪০ জন।