ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ: সেন্টমার্টিনে আটকা পর্যটক

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট  ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ নিম্নচাপে পরিনত হয়েছে। এর  প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কক্সবাজার জেলা জুড়ে। জেলার সর্বত্র আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। সকাল থেকেই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। জাওয়াদের প্রভাবে উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। এ কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় সেন্টমার্টিনে সহস্রাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বৈরী আবহাওয়ায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেখানে আটকা পড়েন তারা। শুক্রবার ও তার আগে এসব পর্যটক প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে গিয়েছিলেন।

বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ থেকে জাওয়াদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসায় আবহাওয়া অধিদফতর শনিবার বিকেলেই ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করেছিল। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সাগর উত্তাল হতে শুরু করায় জাহাজ চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন।

টেকনাফের ইউএনও পারভেজ চৌধুরী জানান, আবহাওয়া খারাপ এবং সমুদ্রবন্দরে ৩ নং সতর্ক সংকেত থাকায় সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রোববার (৫ ডিসেম্বর) থেকে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে জাহাজ ছাড়বে না। আবহাওয়া পরিস্থিতি যতদিন ভালো না হচ্ছে ততদিন এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে হাজারের মতো পর্যটক সেন্টমার্টিন বেড়াতে যান।

টেকনাফ সেন্টমার্টিনের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, শনিবার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলায় জাহাজ কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রশাসন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাহাজ সেন্টমার্টিন আসবে না।

তিনি আরও বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ১৫৪টি আবাসিক হোটেলে বর্তমানে সহস্রাধিক পর্যটক রয়েছেন, যারা ফিরে যেতে পারেননি। পর্যটকদের পরবর্তী নির্দেশনা আসা পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপে থাকতে হবে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত কেটে যেতে দু-একদিন সময় লাগবে। এরপর আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে। সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

 

Related posts: