জেলেদের জন্য ২৪ হাজার ১০৩ টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ

অনলাইন ডেস্ক: সারাদেশের ২০ জেলার ৯৬টি উপজেলায় জেলেদের জন্য ২৪ হাজার ১০৩ টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। জাটকা আহরণ থেকে বিরত রাখতে এই চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) এই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। 

প্রজনন মৌসুমে প্রতি বছর ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত টানা ৮ মাস দেশের নদ-নদীতে জাটকা ধরা বন্ধ থাকে। মাথা থেকে লেজের শেষ অংশ পর্যন্ত ১০ ইঞ্চির নিচের সাইজের ইলিশকে জাটকা বোঝানো হয়।

জাটকা আহরণে বিরত থাকা মোট ৩ লাখ ১ হাজার ২৮৮টি জেলে পরিবার প্রতিমাসে ৪০ কেজি হারে আগামী দুই মাস (এপ্রিল ও মে) এ সহায়তা পাবে বলে জানায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

এর আগে চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০২০) ফেব্রুয়ারি-মার্চ দুই মাস একই উপজেলাগুলোয় ২ লাখ ৮০ হাজার ৯৬৩টি জেলে পরিবারকে ২২ হাজার ৪৭৭ টন ভিজিএফ চাল দেওয়া হয়েছে। চাল বিতরণের ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে খাদ্য সহায়তা না পাওয়া জেলেদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা নতুন মঞ্জুরি আদেশে বলা হয়েছে।

বরাদ্দপ্রাপ্ত ২০ জেলার ৯৬ উপজেলাগুলো হলো—ঢাকার দোহার; মানিকগঞ্জের শিবালয়, দৌলতপুর ও হরিরামপুর; রাজবাড়ীর সদর, পাংশা, কালুখালী ও গোয়ালন্দ; শরীয়তপুরের জাজিরা, ভেদরগঞ্জ, নড়িয়া ও গোসাইরহাট; মাদারীপুরের সদর, কালকিনি ও শিবচর; ফরিদপুরের সদর, মধুখালী, সদরপুর ও চরভদ্রাসন; মুন্সিগঞ্জের সদর, শ্রীনগর, লৌহজং, টংগিবাড়ী ও গজারিয়া; ভোলার সদর, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও মনপুরা; পটুয়াখালীর সদর, কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, দুমকি, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ ও রাঙাবালি; বরিশালের সদর, মুলাদী, হিজলা, বানারীপাড়া, উজিরপুর, বাকেরগঞ্জ, মেহেন্দিগঞ্জ, বাবুগঞ্জ ও গৌরনদী; পিরোজপুরের সদর, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, ইন্দুরকানী, নেছারাবাদ, কাউখালী ও নাজিরপুর; বরগুনার সদর, পাথরঘাটা, আমতলী, বামনা, বেতাগী ও তালতলি; ঝালকাঠির সদর, রাজাপুর, নলছিটি ও কাঁঠালিয়া; চাঁদপুরের সদর, হাইমচর, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ; লক্ষ্মীপুরের সদর, কমলনগর, রামগতি ও রায়পুর; ফেনীর সোনাগাজী; নোয়াখালীর সদর, হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ; চট্টগ্রামের সদর, বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, আনোয়ারা ও মিরসরাই; বাগেরহাটের সদর, মোরেলগঞ্জ, ফকিরহাট, মোংলা, কচুয়া, শরণখোলা ও রামপাল এবং সিরাজগঞ্জের সদর, কাজীপুর, চৌহালি, বেলকুচি ও শাহজাদপুর।

প্রথম কিস্তিতে (ফেব্রুয়ারি ও মার্চ) যেসব জেলে মানবিক এই সহায়তা পাননি, এ বরাদ্দ বিতরণের ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে ওই আদেশে বলা হয়েছে।