তরমুজে ভরে গেছে বাজার, দাম কমেনি খুচরা বাজারে

তরমুজের সরবরাহ বেশি, কমেছে পাইকারি বাজারে তরমুজের দাম। তবে খুচরা বাজারে এর প্রভাব নেই। আগের মতোই ক্রেতাদের বেশি মূল্যে এবং কেজি দরে খুচরা বাজার থেকে কিনতে হচ্ছে এই ফলটি।

সাধারণত পাইকারি বাজারে শ’ (১০০টি) হিসেবে বিক্রি হয় তরমুজ। দাম কমেছে সেখানে। আড়তের ব্যবসায়ীদের মতে, তরমুজের সরবরাহ বেড়ে গিয়েছে। তাই প্রতি ১০০ তরমুজে পাঁচ থেকে পনেরো হাজার টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। আবার মাঝারি সাইজের একটা তরমুজে কমপক্ষে ৫০ টাকা দাম কমেছে বলে মনে করছেন।

তাতে কি! খুচরা বাজারে এখনও সেই আগের দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। এখনও ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে  বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা শ’ হিসেবে কিনে এনে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করায় ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই খুচরা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু রাজধানীর বাজারে তার লেশমাত্র নেই।

জানা গেছে তরমুজের সরবরাহ বেশি তাই দাম অনেকটাই কমে গেছে। এখন মূলত খুলনা থেকে তরমুজ আসছে। আরও মাস খানেক তরমুজ থাকবে।

আড়তদারদের তথ্যমতে, ৭ থেকে ১২ কেজি ওজনের প্রতি একশ তরমুজ এক সপ্তাহ আগেও ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হতো। এখন সেটা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকায়। ৫ থেকে ৭ কেজি ওজনের মধ্যে থাকা একশ তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। কয়েকদিন আগেও এই দাম ছিল ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।

কুমিল্লা বাণিজ্যালয়ের মো. রফিক জাগো নিউজকে বলেন, ‘যে তরমুজ ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করছি এখন তা ২০ হাজার টাকার মতো। দাম কমায় অনেক ব্যাপারি ক্ষতি মুখে পড়েছেন।’ জাগো নিউজের সূত্রে, রাজধানীর শনির আখড়া, রায়েরবাগ, মাতুয়াইল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে আগের মতোই ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডের খুচরা তরমুজ বিক্রেতা শরিফুল বলেন, ‘৬০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছি। সবাই যে দামে বেচে আমিও সেই দামেই বেছি।’