ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে সনদ পেয়েছে ৬ পণ্য

ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) হিসেবে সনদপত্র পেয়েছে ঢাকাই মসলিন, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহীর সিল্ক, বিজয়পুরের সাদামাটি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ ও কালিজিরা চাল।শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন পণ্যগুলোর সংশ্লিষ্টদের হাতে এ সনদপত্র তুলে দেন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতরের (ডিপিডিটি) উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে মেধাসম্পদ’ শীর্ষক সেমিনার এবং ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস-২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সনদ প্রদান করা হয়। ঢাকাই মসলিনের জন্য বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম, রংপুরের শতরঞ্জির জন্য বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান, রাজশাহী সিল্কের জন্য বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আবদুল হাকিম, বিজয়পুরের সাদামাটির জন্য নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান এবং দিনাজপুরের কাটারিভোগ ও কালিজিরা চালের জন্য বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউশনের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরের হাতে সনদপত্র তুলে দেয়া হয়।

‘ট্রেডমার্কস’ হিসেবে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, মোহনা টেলিভিশন লিমিটেড, একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, গোল্ডেন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল বিডি এবং ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডকে সনদ প্রদান করা হয়।

ডিপিডিটি-এর রেজিস্ট্রার আবদুস সাত্তার বলেন, ‘পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ছয় হাজার ২১টি পেটেন্ট সনদ, ১৮ হাজার ৪৯৮টি ডিজাইন সনদ এবং ৬২ হাজার ৬০৯টি ট্রেডমার্কস নিবন্ধন সনদ প্রদান করেছে। আর জিআই সনদ প্রদান করেছি ৯টি পণ্যের। সেগুলো হলো- ইলিশ, জামদানি, ঢাকাই মসলিন, খিরসাপাত আম, কালিজিরা চাল, কাটারিভোগ চাল, শতরঞ্জি, রাজশাহী সিল্ক ও বিজয়পুরের সাদামাটি।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি। এতে সভাপতিত্ব করেন শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা।

Related posts: