সরকারি নির্দেশনা মেনে কঠোর অবস্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

মো. রাকিব:

করোনার ঝুঁকি থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে স্কুল গুলোতে শিক্ষার্থীদের করোনা ঝুঁকি মুক্ত পাঠদান ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে স্কুলে স্কুলে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে কঠোর অবস্থানে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমব সতকর্তায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরাও।

দীর্ঘ প্রায় এক মাস পর পুনরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম চালু হলেও সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে ২০ দফা নির্দেশনা।

নির্দেশনা গুলো মধ্যে রয়েছে, শিক্ষার্থীদের করোনার দুই ডোজ টিকা গ্রহণের সার্টিফিকেট নিশ্চিত করে ক্লাসে আসা, মাস্ক পড়া নিশ্চিত করা, প্রতিষ্ঠানে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা, প্রতিষ্ঠানের ভিতরে এবং বাহিরে ভিড় পরিহার করা, সচেতনতামূলক ব্যানার কিংবা পোষ্টার লাগানোসহ তাপ পরিমাপক যন্ত্রের ব্যাবহার নিশ্চিত করে নিয়মিত তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।

সরকার কর্তৃক প্রকাশিত ২০ দফা নির্দেশনা সম্পূর্ণভাবে মেনে নিয়ে, সে অনুপাতে শ্রেণি কার্যক্রম চালু করেছে বলে জানানো হয় রাজধানী শহরের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

রাজধানীর কয়েকটি স্কুল কলেজ ঘুরে দেখা গেছে, স্কুল কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত সতর্ক রয়েছে। হলিক্রস স্কুল এন্ড কলেজের সামনে পূর্বের ন্যায় ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। শিক্ষকেরা তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করে, মাস্ক এবং টিকা সনদ নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠানের ঢুকার অনুমতি দিচ্ছে। যারা শর্ত পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে তারা অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ রয়েছে বলে প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়। এছাড়াও তেজগাঁও গার্লস স্কুল, ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজসহ শহরের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান রয়েছে সতর্কতা।

শেরেবাংলা নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুহতাসিম বিল্লাহ বলেন, ‘অনেকদিন পর ক্লাসে এসে বন্ধুদের সাথে দেখা হচ্ছে এতে খুব আনন্দিত। বাসায় যেন দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল।’

মুহতাসিমের মতো প্রায় প্রতিটি শিক্ষার্থীর এমন বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়।

আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাফাত জামিল বলেন, ‘অনেকদিন পর প্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস শুরু হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতার ব্যাবস্থা নিয়েছে। টিকা সনদ ব্যাতীত ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি, অনেক শিক্ষার্থীকে।’

অভিভাবকদের অভিমত, সন্তানরা ক্লাসে ফেরায় তারা আনন্দিত। তারা বাসায় অবস্থান করতে করতে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের সতর্কতা এবং প্রতিষ্ঠানকে ঝুঁকি মুক্ত রাখার প্রস্তুতি দেখে তারা আনন্দিত এবং শিক্ষার্থীরা সুরক্ষিত থাকবে বলো তারা আশাবাদী।

নির্জর ক্যান্টানমেন্ট পাবলিক কলেজের অধ্যাপক যাদব সাহা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আমরা আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেছি। তারা আমাদের সন্তানের মতো। তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি। করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিত করে ক্লাসে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

আরইউ