শিল্পনগরী আছে কিন্তু পানি নেই,উদ্বিগ্ন উদ্যোক্তারা

গভীর নলকূপ দিয়ে কত দিন কারখানার কাজ করা যাবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা। কবে নাগাদ পানির ব্যবস্থা হবে, তা অনিশ্চিত।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক অঞ্চল বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে পানির প্রাপ্যতা নিয়ে উদ্যোক্তাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। কারণ, কারখানার কাজে কবে নাগাদ পানি পাওয়া যাবে, সেই নিশ্চয়তা মিলছে না। নিজস্ব টাকায় গভীর নলকূপ বসিয়ে কত দিন কারখানার কাজে পানি ব্যবহার করা যাবে, তা নিয়েও ব্যবসায়ীরা চিন্তিত।

অন্যদিকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বলছে, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে পানি সরবরাহ করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

৩০ হাজার একর জায়গার ওপর গড়ে উঠছে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর। এটিই দেশের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক অঞ্চল। সেখানে দেশি-বিদেশি ১৫৯টি কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে। তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ ২ হাজার কোটি ডলার, যা বাংলাদেশের প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। কোম্পানিগুলোর মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপ, এশিয়ান পেইন্টস, নিপ্পন, ম্যাকডোনাল্ড স্টিল ইন্ডাস্ট্রিসহ বেশ কয়েকটির কারখানার নির্মাণকাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

গ্যাসের নিশ্চয়তা পেলেও উদ্যোক্তাদের যত চিন্তা–উদ্বেগ এখন পানি নিয়ে। কবে নাগাদ পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত হবে, তা অজানা।

তাই পানির সংকটই ভাবিয়ে তুলেছে ব্যবসায়ীদের। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনা চলছে।

বেজার তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকসহ জাহাজ নির্মাণ, স্টিল (ইস্পাত), অটোমোবাইল (গাড়ি), বস্ত্র, রং, রাসায়নিকসহ বিভিন্ন ধরনের কারখানা হচ্ছে। এর মধ্যে রং ও রাসায়নিক কারখানাগুলোর জন্য প্রথম পানির প্রয়োজন।

ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে পানি নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে, তার প্রমাণ মিলল বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীর কাছে পাঠানো বসুন্ধরা কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাফওয়ান সোবহানের লেখা একটি চিঠিতে। ওই চিঠিতে বলা হয়, প্রায় সব ধরনের শিল্পকারখানায় কাঁচামাল হিসেবে এবং কারখানায় নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য পানির প্রয়োজন হয়।

চিঠিতে সাফওয়ান সোবহান তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহ করতে বেজার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, চাহিদার আলোকে বেজা যে পরিমাণ পানি সরবরাহ করতে পারবে, তার ওপর ভিত্তি করে যদি অতিরিক্ত পানির সংস্থানের প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে বসুন্ধরা অন্য উৎস থেকে পানি পাওয়ার চেষ্টা করবে। এর মধ্যে বৃষ্টির পানি, নদী বা খালের পানি। অথবা সাগরের পানি পরিশোধন করার ব্যবস্থা করা হবে।

জানতে চাইলে বসুন্ধরার অর্থনৈতিক অঞ্চলের সমন্বয়ক ফয়জুর রহমান বলেন, ‘পানির প্রাপ্যতার জন্য আমরা বেজার ওপর নির্ভরশীল