বায়ুদূষণ রোধে ৭ প্রস্তাব

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:  রাজধানী ঢাকা শহরের বায়ুর মান নিম্নমুখী হওয়ার অন্যতম কারণ প্রশাসনের উদাসীনতা বলে মন্তব্য করেছেন সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ঢাকা শহর বায়ুদূষণের নগরী হিসেবে পৃথিবীতে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে। বায়ুদূষণের ফলে অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, সাইনোসাইটিস, ঠান্ডা জ্বর, কাশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মালিবাগে পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত ‘ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ রোধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বায়ুদূষণ রোধে সবুজ আন্দোলনের পক্ষ থেকে সাতটি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।

আলোচনা সভার প্রধান অতিথি হিসেবে বাপ্পি সরদার বলেন, সরকারের মেগা প্রজেক্ট, ভবন নির্মাণের ফলে নির্মাণসামগ্রী যত্রতত্র রাখা রাজধানীর বায়ুদূষণের অন্যতম প্রধান কারণ। শহরের চারপাশ দিয়ে অবৈধ ইটভাটার কালো ধোঁয়া বায়ুদূষণ বৃদ্ধি করছে।

এসময় বায়ুদূষণ রোধে সবুজ আন্দোলনের পক্ষ থেকে সাতটি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো-

১. রাজধানীর রাস্তা দিনে দুইবার ঝাড়ু এবং সপ্তাহে একবার পানি দিয়ে ধোয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

২. বাড়ি নির্মাণের জন্য বিল্ডিং কোড অনুসরণ এবং নির্মাণ সামগ্রী নিজ নিজ দায়িত্বে ভবনের মধ্যে রাখতে হবে।

৩. অবৈধ ইটভাটা বন্ধে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনে ব্যবসায়ীদের কম সুদে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. ঢাকা শহরের চারপাশে নদীর নাব্য সংকট দূর করতে খননকাজ নিশ্চিত করতে হবে এবং সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে।

৫. নিয়মিত বায়ুদূষণ মনিটরিং করার জন্য আলাদা মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে। প্রতি সপ্তাহে বায়ুর মান নিরূপণ করে গণমাধ্যমের সহযোগিতায় জনস্বার্থে প্রকাশ করতে হবে।

৬. ঢাকা শহরের সব বিল্ডিংয়ের ছাদে কৃষিপণ্য ও গাছের টব, শপিং মলের সামনে গাছের টব রাখা বাধ্যতামূলক করতে হবে। এবং

৭. সব রকম দূষণ থেকে রাজধানীকে রক্ষা করার জন্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে স্টেকহোল্ডার বডিকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-দপ্তর সম্পাদক ও মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুল আজিজ। উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রত্যাশার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের পরিচালক অভিনেতা উদয় খান।