‘কৃষক-ভোক্তার সমস্যা সম্মিলিত ভাবে সমাধান সম্ভব’

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ‘স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে কৃষি সেক্টরের। এ সেক্টরে সম্মিলিত ভাবে কাজ করলে কৃষক ও ভোক্তার বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব হবে।’

বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত সেমিনারে মূখ্য আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দের সঙ্গে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ বিষয়ক এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হিসেবে অধিদপ্তর যুগোপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দোরগোঁড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছে৷ অধিদপ্তরের নিজস্ব ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল, কনজুমার কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিসিএমএস) এর মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করা এই পদক্ষেপেরই প্রকৃষ্ট উদাহরণ।’

বর্তমান সমাজে বিদ্যমান ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কাজের স্বরুপ তুলে ধরে তা প্রতিরোধে অধিদপ্তরের গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে সকলকে অবগত করেন তিনি।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন এবং ডাইনিংসহ আশপাশের রেস্টুরেন্টগুলোতে সাধারণ তদারকির বিষয় তুলে ধরেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ সম্মিলিত ভাবে তদারকির বিষয়ে প্রস্তাব করেন।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক উপস্থিত শিক্ষার্থীবৃন্দকে ভোক্তা-অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন এবং শিক্ষার্থীদের নিজে সচেতন হয়ে অন্যদের মাঝে তা প্রচার করার অনুরোধ জানান। 

মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীবৃন্দের ভোক্তা-অধিকার আইন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশিদ ভূঁইয়া।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম ও পোস্ট গ্রাজুয়েট  স্ট্যাডিজ বিভাগের ডিন প্রফেসর  ড. অলোক কুমার পাল।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ। 

এছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালকবৃন্দ ও সহকারী পরিচালকবৃন্দ, শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সেমিনারের কার্যক্রম শুরু হয়। 

সেমিনারে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইনের বিভিন্ন দিক বিশেষ করে উপস্থিত তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের ভোক্তা হিসেবে নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে ভোক্তাবান্ধব পৃথিবী গড়ার আহ্বান জানান তিনি।

অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, ‘যুবসমাজ দায়িত্বশীল হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সহজ হবে।’

ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইনটি ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণে কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সে বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয় এবং দুটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

প্রধান অতিথি জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের একজন প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানান।

সভায় বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ভ্যানে খোলা খাবার বিক্রির জন্য নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানান। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। 

-আরইউ