খাদ্য ব্যবসায়ীদের জন্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ১২ নির্দেশনা

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: পবিত্র রমজান মাসে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাদ্য আইন ও এর বিধি-বিধান প্রতিপালনের জন্য খাদ্য ব্যবসায়ীদের ১২টি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

রোববার প্রকাশিত সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে-

– খোলা, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে ইফতারসামগ্রী তৈরি ও পরিবেশন থেকে বিরত থাকুন।

– বাসি বা পচা উপকরণ দিয়ে ইফতারি তৈরি করবেন না।

– সকল প্রকার খাদ্য ও খাদ্য উপকরণ স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে ঢেকে রাখুন।

– হিমায়িত খাবার -১৮° সেলসিয়াস ও ঠান্ডা খাবার ৫° সেলসিয়াসের নিচে এবং গরম খাবার ৬০ ডিগ্রির উপরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন।

– ইফতারির সামগ্রী যেমন পেঁয়াজু, চপ, বেগুনি, জিলাপি, বুন্দিয়া, ফিরনি ইত্যাদি তৈরিতে অননুমোদিত রং, সুগন্ধি বা অন্যান্য সংযোজন দ্রব্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

– যেকোনো ধরনের শরবত বা পানীয় তৈরিতে অনিরাপদ পানি/বরফ, অননুমোদিত সুগন্ধি, রং ইত্যাদি ব্যবহার হতে বিরত থাকুন।

– রান্নায় বিশুদ্ধ বা ভেজালমুক্ত তেল ব্যবহার করুন এবং একই তেল বার বার ব্যবহার হতে বিরত থাকুন।

– অপরিপক্ব ফল পাকাতে অননুমোদিত রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

– খাদ্যদ্রব্য মোড়কীকরণে খবরের কাগজ বা ব্যবহৃত কাগজের তৈরি মোড়ক ব্যবহার করবেন না।

– অসুস্থ বা ছোঁয়াচে ব্যাধিতে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির দ্বারা খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত, পরিবেশন ও বিক্রয় থেকে বিরত থাকুন।

– ইফতারি প্রস্তুত ও পরিবেশনে নিয়োজিত কর্মীরা আবশ্যিক ভাবে গ্লাভস, মাস্ক ও হেড কাভার পরিধান করুন।

– উৎস শনাক্তকরণের নিমিত্তে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ ক্রয়ের রশিদ বা চালান খাদ্যদ্রব্যের মেয়াদ সমাপ্ত হওয়ার ন্যূনতম তিন মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করবেন।