আমাদের খাবার যেন বিশ্বমানের হয়: বিএফএসএ চেয়ারম্যান

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, ‘আমাদের দেশে কেএফসি, পিৎজা হাট বা ডমিনোজ পিৎজা এসে ব্যবসা করছে। কিন্তু আমাদের সুলতান’স ডাইন বা স্টার কাবার কেন সারা বিশ্বে যেতে পারছে না? আমি এমন পরিবেশ দেখতে চাই যেন আমাদের খাবার বিশ্বমানের হয়।’

রোববার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা জেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকার খাদ্য স্থাপনায় কর্মরত খাদ্যকর্মীদের “নিরাপদ উপায়ে খাবার প্রস্তুত, বিক্রয় ও সংরক্ষণ” শিরোনামে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে বিএফএসএ’র জাইকা প্রজেক্ট।

বিএফএসএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি যেন রেস্টুরেন্টে গিয়ে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে পারি সে বিষয়ে আপনাদের সচেতন থাকতে হবে। আপনাদের পরিবেশিত খাদ্য যেন খাদ্যবাহিত রোগের কারণ না হয়।’

রেস্টুরেন্টে পরিবেশিত খাবার যাতে বাসার খাবারের চেয়েও ভালো হয় সে বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আপনারা নতুন কিছু জানবেন, আমরা নতুন কিছু জানবো, উভয়ের পারস্পরিক জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে আমরা দেশে নিরাপদ খাদ্যের সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে জাকারিয়া বলেন, ‘বিশ্বে প্রতি ১০ জনে একজন অনিরাপদ খাবার গ্রহণের কারণে অসুস্থ হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশে এক লাখ ১৪ হাজার মানুষ প্রতি বছরে ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করছে, যার মূল কারণ অনিরাপদ খাদ্য।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহা. হারুণ-অর-রশীদ বলেন, ‘খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে অন্যদের সহযোগিতায় আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। কিন্তু খাদ্যের নিরাপদতায় আমাদের আরও জোর দিতে হবে। সে জন্য যারা খাদ্য সরবরাহ করেন, তাদের যেমন সচেতন থাকতে হবে ঠিক তেমনই যারা ভোক্তা, তাদেরও খাবার গ্রহণের সময় সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।’

কর্তৃপক্ষের সচিব ও জাইকা প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মো. আখতার মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএফএসএ’র দুই সদস্য ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ও ড. মোহাম্মদ শোয়েব।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং অফিসার ইমরান হোসেন মোল্লা।

অনুষ্ঠানে খাদ্যকর্মীদের খাবার প্রস্তুত, পরিবেশনা, সংরক্ষণ, পরিবহন, লেবেলিং, নিরাপদ খাদ্য আইন ও এর বিধি-প্রবিধি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, খাদ্যকর্মীদের করণীয়াবলি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার উপায়, ভোক্তার সাথে আচরণ এবং নিরাপদ খাদ্যের পরিবেশ তৈরীতে করণীয় ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

এ সময় তাদেরকে মাস্ক, এপ্রোন, ক্যাপ, গ্লাভস ইত্যাদি বিতরণ করা হয়।

এতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের প্রায় ২০০ জন খাদ্যকর্মী অংশগ্রহণ করেন।