আইসিপিসির গ্র্যান্ড ফিনালে ১০ নভেম্বর

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার সবচেয়ে সম্মানজনক আয়োজন ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টের (আইসিপিসি) ৪৫তম আয়োজনের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ নভেম্বর। 

মঙ্গলবার রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে (আইসিসিবি) এবারের আয়োজনের গ্র্যান্ড ফিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

প্রতিযোগিতার এবারের আসরের আয়োজক দেশ বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সময় দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। নতুন দুনিয়া তৈরি হচ্ছে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য এ ধরনের আয়োজন অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। আমি আইসিটি মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাতে চাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় অবদান রাখায়। এ ধরনের আয়োজনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসিটি ডিভিশনের সঙ্গে থাকবে।

তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক বলেন, ভবিষ্যতের ভাষা হলো প্রোগ্রামিং। এ প্রসঙ্গে আমার প্রিয় একটা কোট বলতে চাই, স্টিভ জবস বলেন, সবারই প্রোগ্রামিং শেখা উচিত। এতে করে চিন্তার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এ জন্য প্রাথমিক পর্যায় থেকেই শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ধারণা দিতে কাজ করছে সরকার। আইসিপিসির এবারের আয়োজক হতে পেরে আমরা গর্বিত। আমি বিশ্বাস করি, আইসিপিসি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আমাদের এই সম্পর্ক ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে আইসিপিসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. উইলিয়াম বি. পাউচার বলেন, আইসিপিসি বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি অন্যতম বিশেষ আয়োজন। আমাদের লক্ষ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের শক্তির ওপর নির্ভর করে একটি উন্নত বিশ্ব গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যে আইসিপিসি কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এটি অব্যাহত থাকবে।

ইউএপির উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আইসিপিসি হলো সবচেয়ে পুরানো, বৃহত্তম এবং মর্যাদাপূর্ণ একটি প্রিমিয়ার গ্লোবাল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার অলিম্পিক হিসেবে বিবেচিত হয়। ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক এই আয়োজনের অংশীদার হতে পেরে গর্বিত।

এ বছর ৬০টির বেশি দেশ থেকে প্রায় ১৪০টির বেশি দলের এক হাজারের বেশি প্রতিযোগীরা এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেবেন। এই আয়োজনকে ঘিরে ইতোমধ্যে ২০০ জন আইসিপিসি রিজিওনাল কনটেস্ট ডিরেক্টর ছাড়াও কর্মকর্তাসহ অন্তত এক হাজারেরও বেশি বিদেশি অতিথি বাংলাদেশে এসেছেন।

প্রতিযোগিতার মূল প্রবলেম সলভিং অংশটি অনুষ্ঠিত হবে ১০ নভেম্বর, যেখানে ছয় ঘণ্টায় অংশগ্রহণকারীরা প্রদত্ত সমস্যার সমাধান করবেন। এরপর সমাধানে সবচেয়ে কম সময়ে কৃতকার্য হওয়ার ওপর নির্ভর করে বিজয়ী দল ঘোষণা করা হবে।

এ বছর বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক থেকে মোট আটটি দল অংশ নেবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি এবং আইসিপিসি নির্বাহী পরিচালক ড. উইলিয়াম বি. পাউচার, বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, আইসিপিসির উপনির্বাহী পরিচালক ও আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস কনটেস্টের পরিচালক ড. মাইকেল জে. ডোনাহু, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য ও আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ঢাকার পরিচালক অধ্যাপক কামরুল আহসান, হুয়াওয়ের কর্পোরেট কমিউনিকেশনস বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিকি ঝ্যাং, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে আগত অতিথিদের জন্য এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগামী ১০ নভেম্বর একই ভেন্যুতে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হবে।