কলকাতা-ঢাকা ও খুলনা রুটে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: কলকাতা-ঢাকা, খুলনা-ঢাকা, খুলনা-রাজশাহী, খুলনা-চিলহাটি রুটে চুয়াডাঙ্গা দিয়ে চলাচল করা চার ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে।

শনিবার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুরে লুপ লাইনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তেলবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন ও ইঞ্জিন সংলগ্ন তিনটি বগি লাইনচ্যুতের ঘটনা এতে। এতে পৌনে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা বিলম্বে চলাচল করছে ট্রেন। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গার স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান। 

চুয়াডাঙ্গা স্টেশন মাস্টার সূত্রে জানা গেছে, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে সকাল ৯টা ২৩ মিনিটে প্রবেশ করে। এরপর ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট দাঁড়িয়ে অনুমতি পেলে আপ লাইনে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। 

অপরদিকে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন সকালে চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে প্রবেশ করে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। অনুমতি পেলে ১২টা ৫ মিনিটে (১ ঘণ্টা ১৮ মিনিট দেরিতে) ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। 

এছাড়া সময়সূচি অনুযায়ী খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস বেলা ১১টা ৪৯ ও চিলহাটিগামী রুপসা এক্সপ্রেস সকাল ৯টা ৪৮ মিনিটে চুয়াডাঙ্গা স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই দুই ট্রেন চুয়াডাঙ্গা স্টেশন প্রবেশ করেনি। 

কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী মাসুদ বলেন, সকাল ৯টায় স্টেশন এসেছি। রাজশাহীতে যাব চিকিৎসার জন্য। আমার সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন দেওয়ার জন্য কয়েজনও রয়েছে। ট্রেনটি স্টেশনে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছে। এতে আমরা প্রচুর ভোগান্তিতে পড়েছি। 

অপর এক ট্রেনযাত্রী বলেন, প্রায় দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে। ট্রেনের মধ্যে প্রচুর গরম। বাচ্চাসহ গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সবাই। 

আরেক যুবক বলেন, নাটোরে যাওয়ার জন্য স্টেশনে এসেছি। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আসার কথা থাকলেও ১২ টা পর্যন্ত আসেনি। বড় ধরনের ভোগান্তিতে আছি আমরা। ট্রেন কখন আসবে জানি না।

চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা বলেন, ঢাকা-কলকাতা চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছালে নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে রাখা হয়। কোনো যাত্রী বের হতে যেন না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি ছিল। 

চুয়াডাঙ্গার স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান বলেন, কুষ্টিয়ার হালসায় তেলবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট পর রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে প্রবেশের পর ১ ঘণ্টা ১৮ মিনিট পর ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এরপর রুপসা ও চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন চুয়াডাঙ্গা স্টেশন প্রবেশ করবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা স্টেশন ত্যাগ করবে। লাইন মেরামত না হওয়া পর্যন্ত ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে।