জেট ফুয়েলের দাম বাড়ার প্রভাব প্লেনের টিকিটে

আকাশ পথে ভ্রমণ জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও করোনাকালে আগের তুলনায় বেড়েছে প্লেনের টিকিটের দাম। অথচ বছরখানেক আগেও আভ্যন্তরীণ রুটে বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী প্রতি ন্যূনতম ভাড়া ছিল দুই হাজার ৫০০ টাকা থেকে দুই হাজার ৭০০ টাকা।

বর্তমানে একই গন্তব্যে তিন হাজার ৬০০ টাকা ভাড়া গুনতে হচ্ছে। অর্থাৎ যাত্রীদের দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ৯০০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকা বেশি।

বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, গত এক বছরে জেট ফুয়েলের দাম বাড়াসহ নানা কারণে তাদের অপারেশন খরচ বেড়ে গেছে। ফলে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে বৃদ্ধি করতে হয়েছে টিকিটের মূল্য।

টিকিটের দাম বাড়ার বিষয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম জানান, আগের তুলনায় তাদের ফ্লাইট অপারেশন খরচ বেড়ে গেছে। অপারেশন খরচ এর মধ্যে অ্যারোনটিক্যাল ও নন অ্যারোনটিক্যাল চার্জ এবং জেট ফুয়েল অন্যতম।

তিনি জানান, জেট ফুয়েলের মূল্য বৃদ্ধি অপারেশন খরচের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। ফলে খরচ সমন্বয় করতে গিয়ে টিকিটের দাম বাড়াতে হয়েছে। ফলে এর প্রভাব পড়েছে যাত্রীদের ওপর।

কম খরচে যাত্রীদের জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে অ্যারোনটিক্যাল ও নন অ্যারোনটিক্যাল চার্জ এবং জেট ফুয়েল দাম কমাতে দাবি জানিয়ে আসছেন বলে মন্তব্য করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এই কতর্মকর্তা।