দৌলতদিয়ায় ফেরি পারের অপেক্ষায় ৫ শতাধিক বাস-ট্রাক

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঈদের আগে ও পরে মোট ১০ দিন অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকার পর আজ থেকে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার শুরু হয়েছে। এতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটের রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে চার কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (৯ মে) দুপুরে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ দেখা যায়। এ ছাড়া ফেরি পারের জন্য ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ জট তৈরি হয়েছে। পারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় ৫ শতাধিক যানবাহন। এর মধ্যে রয়েছে শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।

ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে যানবাহনের সিরিয়াল ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় চার কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত রয়েছে। এর মধ্যে ফেরি পারের অপেক্ষায় যাত্রীবাহী বাসগুলোর ফেরি পার হতে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা করে সময় লাগছে।

অন্যদিকে ঘাট এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে ঘাট থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পেছনে গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ীর দিকে আরও তিন কিলোমিটার অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে আটকে রেখেছে পুলিশ। সেখানেও শতাধিক ট্রাক রয়েছে। এসব পণ্যবাহী ট্রাকের ফেরির নাগাল পেতে ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগছে।

ঘাট-সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, রোববার ভোর ৬টা থেকে সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ফেরিগুলো ২৫৯টি ট্রিপে বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে পাটুরিয়া গেছে। যার মধ্যে যাত্রীবাস রয়েছে ৭৭২টি, ট্রাক ৮৯১টি, ব্যক্তিগত যানবাহন মাইক্রোবাস ৩ হাজার ৩৮৮টি ও মোটরসাইকেল ১ হাজার ৯৬টি।

সব মিলিয়ে ৬ হাজার ১৪৭টি যানবাহন দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে পার হয়ে পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছায়। এ ছাড়া হাজার হাজার মানুষ ফেরিতে নদী পার হয়েছেন।

এসপি গোল্ডেন লাইন পরিবহনের যাত্রী জিল্লুর রহমান বলেন, সকাল ৮টায় ঘাট এলাকায় এসেছি। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা হয়ে গেল অপেক্ষা করছি, ফেরির দেখা পাইনি। এখনো ঘাট থেকে আধা কিলো দূরে রয়েছি।

তরমুজ বোঝায় ট্রাক চালক মাইন শেখ জানান, তিনি তরমুজ নিয়ে যাবেন ঢাকার কারওয়ান বাজার। গতকাল রাতে এসে তিনি ঘাটে আটকে যান। এখনো তিনি ঘাটেই আছেন। তার শঙ্কা ঘাটে আরও কিছুক্ষণ আটকে থাকলে গরমে তার তরমুজ পচে যাবে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন জানান, আজ থেকে সব পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার শুরু হওয়ায় দৌলতদিয়া যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এ ছাড়া বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটের গাড়িগুলোও এই রুট ব্যবহার করছে। এতে দৌলতদিয়া প্রান্তে চাপ বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২১টি ফেরির মধ্যে ফেরি বনলতা ফেরিটি বিকল হওয়ায় এখন ২০টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করানো হচ্ছে। তবে যাত্রী দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ছোট প্রাইভেট কার ও যাত্রীবাহী বাসকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।