সাজেক-খাগড়াছড়ি যান চলাচল বন্ধ

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সড়কের একটি কালভার্ট ডুবে যাওয়ার কারণে সাজেক-খাগড়াছড়ি যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেকে যাতায়াতের পথ বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে সাজেকে ৩০০ থেকে ৪০০ পর্যটক অবস্থান করছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলমান অতি ভারী বর্ষণের ফলে উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার প্রধান সড়কের একটি কালভার্ট ডুবে গেছে। এতে খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা যান চলাচল সাময়িক বন্ধ আছে। যেহেতু সাজেকে দীঘিনালা হয়ে যাতায়াত করতে হয়, তাই সাজেকে যাতায়াতের পথও সাময়িকভাবে বন্ধ আছে। তাই মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সাজেক থেকে কোনো গাড়ি ছেড়ে আসেনি বা বাঘাইহাট থেকেও সাজেকে কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারেনি। তাই সাজেকে অবস্থানরত পর্যটকদের আজ সাজেকেই অবস্থান করতে হয়েছে।

সাজেক হিল ভিউ রিসোর্টের মালিক ইন্দ্রজিৎ চাকমা বলেন, দীঘিনালা-বাঘাইহাট সড়ক বন্ধ থাকার কারণে সাজেকে বেড়াতে আসা পর্যটক যাদের আজ ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তারা ফিরতে পারেননি। নতুন কোনো পর্যটকও আসেনি আজ। এই মুহূর্তে সাজেকে ১৫০-২০০ পর্যটক অবস্থান করছেন এবং সবাই ভালোভাবেই আছেন।

সাজেক রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন বলেন, বাঘাইহাটে যাতায়াত বন্ধ থাকার কারণে সাজেকে পর্যটক যাতায়াত আজ বন্ধ ছিল। কর্তৃপক্ষ থেকে গাড়ি ছাড়তে নিষেধাজ্ঞা থাকায় কোনো গাড়ি আসেওনি, যায়ওনি। তাই নতুন কোনো পর্যটক আসেননি এবং অবস্থানরত পর্যটকদের সাজেকেই থাকতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সাজেকে বর্তমানে দুই থেকে ৩০০ পর্যটক অবস্থান করছেন। পর্যটকদের জন্য সব কটেজ রিসোর্টের ভাড়া ৫০% করে দিয়েছি। পাশাপাশি যাদের আজকের জন্য অগ্রিম বুকিং ছিল তাদের টাকাও রিটার্ন করার জন্য বলে দেওয়া হয়েছে। অগ্রিম বুকিং করা কোনো পর্যটক যদি পরবর্তীতে আসতে চান তাহলে আমরা সেটা সমন্বয় করে দেব।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, দীঘিনালায় যে কালভার্টটি ডুবে গেছে সেটি রিকভার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু বাঘাইহাট বাজার এবং মাচালং সেতুতে পানি উঠে ডুবে গেছে। যেহেতু বাঘাইহাট থেকে মাচালং পর্যন্ত দূরত্ব ১৭ কিলোমিটার, এই দীর্ঘ পথটি পর্যটকদের পক্ষে পাড়ি দেওয়া সম্ভব নয়। তাই সাজেকে অবস্থানরত পর্যটকদের অপেক্ষা করার জন্য বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলেছি, তারা পর্যটকদের জন্য ডিসকাউন্ট দিচ্ছেন। পর্যটকদের কোনো সমস্যা হবে না। বর্তমানে সাজেকে ৩০০ থেকে ৪০০ পর্যটক আছেন।