ইউক্রেনে স্কুলে বিমান হামলা, ৬০ জনের মৃত্যুর শঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউক্রেনের একটি স্কুলে রাশিয়ার বিমান হামলায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির লুহানস্ক অঞ্চলের ওই স্কুলটিতে ৯০ জনের মতো বেসামরিক নাগরিক আশ্রয় নিয়েছিল। স্থানীয় সময় শনিবার ওই স্কুলে বিমান হামলা চালানো হয়। স্থানীয় এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

লুহানস্কের আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি হাইদাই জানিয়েছেন, ওই স্কুলে আশ্রয় নেওয়া ৩০ বেসামরিক নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে সাতজন আহত হয়েছেন।

রোববার এক টেলিগ্রাম পোস্টে হাইদাই বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, ওই ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া ৬০ জনই মারা গেছে। স্থানীয় সময় শনিবার বিলোহোরিভকা গ্রামের একটি স্কুলে বোমা হামলা চালায় রাশিয়া।

ইউক্রেনের সঙ্গে সমন্বয় করে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ওয়াশিংটন, এমন অভিযোগ তুলে রাশিয়ার শীর্ষ এক আইনপ্রণেতা বলেছেন, এর অর্থ দাঁড়ায় যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ব্যাচেস্লাভ ভলোদিন রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ দুমার স্পিকার এবং মস্কোর একজন প্রখ্যাত আইনজীবী। ভোলোদিন এক টেলিগ্রাম চ্যানেলে লেখেন যে, ওয়াশিংটন ইউক্রেনের সামরিক অভিযানের সমন্বয় করছে ও রসদ যোগাচ্ছে। ফলে সরাসরি তার দেশের বিরুদ্ধে সামরিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছে যুক্তরাষ্ট্র।

ওয়াশিংটন ও ন্যাটো জোটের ইউরোপীয় সদস্যরা কিয়েভকে ভারী অস্ত্র সরবরাহ করছে যাতে এটি রাশিয়ান আক্রমণ প্রতিহত করতে পারে। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি হামলা প্রতিহত করতেও পেরেছে ইউক্রেন। ফলে পূর্ব এবং দক্ষিণ ইউক্রেনের কিছু অংশ রাশিয়া নিয়ন্ত্রণে নিলেও কিয়েভ দখলে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।