ড্যাপ চূড়ান্ত : প্রাধান্য পাচ্ছে জনঘনত্ব

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: ঢাকার পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রস্তাবিত নতুন ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। এতে গুরুত্ব পাচ্ছে জনঘনত্ব। কোন এলাকার জনঘনত্ব কেমন হবে, তা নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট এলাকার নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধার ওপর।

জানা গেছে, ১৯৫৯ সালে প্রথমে ঢাকার জন্য এ সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনা করা হয়। কলম্বো ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যান স্কিমের সহযোগিতায় ব্রিটিশ কোম্পানি মিনোপ্রিও, স্পেন্সলি ও ম্যাকফারলনের মাধ্যমে এ পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। পরিকল্পনাটি ২০ বছরের জন্য করা হলেও কার্যকর ছিল ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত।

এরপর ঢাকা শহরের উন্নয়নের জন্য ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যান (১৯৯৫-২০১৫) নামের ২০ বছরের দীর্ঘমেয়াদি কৌশল পরিকল্পনা প্রণয়ন করে রাজউক। এছাড়া নগর অঞ্চল পরিকল্পনাও (১৯৯৫-২০০৫) প্রণয়ন করা হয়। ২০০৪ সালে ড্যাপের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। ২০১০ সালের ২২ জুন এটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। ড্যাপে ঢাকার মোট আয়তন ধরা হয় এক হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার বা ৫৯০ বর্গমাইল।

গত ৩০ ডিসেম্বর সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে রিভিউ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাশেষে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও ড্যাপ রিভিউ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলাম ড্যাপ চূড়ান্ত হওয়ার বিষয়টি জানান। ওইদিন তিনি বলেন, ড্যাপ চূড়ান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হবে
২০১০ সালের ২৭ জুন ড্যাপ রিভিউ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের মার্চে সংশোধিত ড্যাপ প্রণয়নের কাজ শুরু করে রাজউক। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ড্যাপ চূড়ান্ত করার কথা ছিল। সে সময় কাজ শেষ না হওয়ায় ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। পরে দফায় দফায় সময় আরও বাড়ানো হয়।

গত ৩০ ডিসেম্বর সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে রিভিউ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাশেষে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও ড্যাপ রিভিউ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলাম ড্যাপ চূড়ান্ত হওয়ার বিষয়টি জানান।

ওইদিন তিনি বলেন, ‘ড্যাপ চূড়ান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হবে।’