বিকাশ, রকেট ও নগদের মধ্যে আন্তঃ লেনদেন চালুর কাজ চলছে

লেনদেন হবে ডিজিটাল ব্যবস্থায়। ভবিষ্যতে দেশে কাগজের মুদ্রা না থাকার সম্ভাবনা। আর্থিক খাতে ডিজিটালাইজেশন করার মধ্য দিয়েই দেশকে ডিজিটালাইজড করা সেই সম্ভব। সেই দিকেই মনোনিবেশ করছে মোবাইল ব্যাংকিং সেক্টর।

বিকাশ, রকেট, নগদের মতো মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানের হিসাবধারীদের মধ্যে আন্তঃ লেনদেনের ব্যবস্থা চালু করা জরুরি।

৩ জুলাই শনিবার,  টেলিযোগাযোগ খাতের সংবাদ সংগ্রহে থাকা সাংবাদিকদের সংগঠন টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘ভাতা বিতরণে মোবাইল প্রযুক্তি: স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নিশ্চয়তা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন আলোচকেরা।

এসময় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘কাগজের মুদ্রাকে আমরা ভবিষ্যতে লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে দেখতে চাই না। আমাদের লক্ষ্য “ক্যাশলেস” সমাজের দিকে যাওয়া।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক এমএফএস সেবাদাতাদের মধ্যে আন্তঃ লেনদেন চালু করলে এই সেবা আরও গ্রহণযোগ্যতা পাবে।’

বিকাশ, রকেট ও নগদের  আন্তঃ লেনদেন চালু হলে বিকাশের হিসাবধারী রকেট ও নগদে টাকা পাঠাতে পারবেন। আবার রকেট ও নগদের মতো এমএফএসের হিসাবধারীরা বিকাশে টাকা পাঠাতে পারবেন। এই আন্তঃ লেনদেনের গত বছরের অক্টোবরে চালুর কথা ছিল। তবে তা প্রস্তুতির অভাবে পিছিয়েছে। অবশ্য ব্যবস্থাটি চালুর জন্য কাজ চলছে।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সংগঠন বেসিসের সভাপতি আলমাস কবির বলেন, ‘এমএফএস সেবাকে আরও তরান্বিত করতে আন্তঃ লেনদেনের ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন।’

নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘আর্থিক খাতের ডিজিটালাইজেশন না করা গেলে ডিজিটাল বাংলাদেশের সামগ্রিক লক্ষ্য অর্জিত হবে না। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে আর্থিক আওতায় না আনা গেলেও লক্ষ্য পূরণ অসম্ভব হবে। এমএফএসের কারণেই সরকারি ভাতা ব্যবস্থাপনায় বড় পরিবর্তন এসেছে। তালিকায় থাকা ভুয়া গ্রাহকদের বাদ দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’

মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটবের সাবেক মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবির বলেন, ‘ভবিষ্যতে সব ধরনের লেনদেন ডিজিটাল হয়ে যাবে। তখন আরও বেশি মানুষকে আর্থিক সেবার আওতায় আনা যাবে।’