ঈদ উপলক্ষে কামার পল্লীতে নেই আগের মত সেই ব্যস্ততা

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঝিনাইদহের কামার পল্লীতে ব্যস্ত সময় পার করে কামাররা। হাতুড়ির ঠুংঠাং শব্দে এগিয়ে চলে তাদের কাজ। তবে কঠোর লকডাউনের কারণে ক্রেতা সংখ্য কমে যাওয়াই প্রতিবারের চেয়ে এবার কাজ কিছুটা কম।

করোনা পরিস্থিতির আগে প্রতি ঈদে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার হতো কামারদের। ঈদের ২০/২৫দিন আগে থেকেই শুরু হয়ে যেতো এই ব্যস্ততা। দিনরাত চলতো তপ্ত লোহাকে পিটিয়ে দা, ছুরি, কোপতা তৈরির কাজ। জেলার ৬টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রয়েছে কামারপল্লী। সদর উপজেলার নলডাঙ্গা এলাকার কামার অমিত কর্মকার জানান, ‘এ বছর ব্যবসায়ের সময়টাতে লকডাউন থাকায় আগের মতো ব্যস্ততা কামারদের মধ্যে নেই। লকডাউনের কারণে ক্রেতারা আসতে পারছেন না। এতে করে কোনও রকমে কাজ চলছে।’

এছাড়াও শৈলকূপা উপজেলার ফুলহরি গ্রামের নীশিত কর্মকার জানান, ‘কোরবানির আগের মাস থেকেই আমাদের ব্যবসা শুরু হতো। কিন্তু এ বছর আশানুরূপ কাজ নেই। জিনিসপত্রের দামও বেড়ে গেছে। তাই আগে থেকেই হাতিয়ার তৈরি করতে সাহস পাওয়া যাচ্ছে না। পাতি ব্যবহারে কয়লা মজুদ করে রাখতে হতো, এবার সেটি নেই। দা ও কোপতা বানাতে ৪০০, বড় ছুরি ৬০০ টাকা, ও ছোট ছুরি ১৫০ টাকা এবং শান দেয়ার মজুরী প্রকার ভেদে ৮০ ও ১২০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে লকডাউন শিথিল হলে বেচাকেনা শুরু হতে পারে।

অন্যদিকে, কামারশালার আলী রেজা নামের এক ক্রেতা জানান, ‘কোরবানির আগে কামারশালায় ভিড় থাকে। লকডাউনের কারণে সে তুলনায় ভিড় না থাকায় লোহা কিনে নিয়ে চাহিদানুযায়ী চাপাতি ও দা বানিয়ে নিতে হচ্ছে।

Leave a Comment