অনলাইন শপের জালিয়াতি ও হুমকির শিকার ভোক্তারা

অনলাইন শপে প্রোডাক্ট অর্ডার দিয়ে প্রোডাক্ট না পাওয়া এ যেন নিত্যদিনের ঘটনা। এর সাথে এখন যুক্ত হয়েছে হুমকিও। এভাবেই প্রতিদিন বেড়েই চলেছে ভোক্তাদের আহাজারি।

করোনা মহামারীর সময় অধিকাংশ মানুষ ঝুঁকছে অনলাইন শপিং এ। রমরমা ব্যবসা জমে উঠেছে অনলাইন দোকানদারদের।
কিন্তু ভোগান্তির শেষ নেই ভোক্তাদের। বিভিন্ন ভাবে তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

অনলাইনে কোন প্রোডাক্ট অর্ডার দিলে নির্ধারিত প্রোডাক্ট না পাওয়া আমাদের সমাজে এখন একটি প্রচলিত ঘটনা।
কিন্তু প্রোডাক্ট খারাপ হলে বা প্রোডাক্ট না পেলে হুমকির শিকার হতে হচ্ছে অনেক ভোক্তাদের।

এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে গোপীনাথ পাল নামের এক ভোক্তার কাছ থেকে।তার ভাষ্যমতে,আমি আমার এক পরিচিত লোকের মাধ্যমে জানতে পারি যে
Diamu Online Shop এ টাকা পাঠালে কোনরকম প্রতারণার শিকার হবো না।
তাই আমি তাদের বিকাশ নাম্বারে পাঠানোর জন্য বিকাশ নাম্বার চাইলে একটি নাম্বার সেন্ড মানি করতে বলে।

আমি দোকানে গিয়ে ১০০০ টাকা সেন্ড মানি করি উক্ত নাম্বারে। টাকা পাঠানোর পর এসএমএসের
মাধ্যমে তারা আমাকে জানায় যে তারা টাকা পেয়েছে। পরে আমি যখন আমার প্রোডাক্ট(ক্যামেরা)
এর কথা বলি তখন তারা বলে যে, টাকা দিবে না এবং আমাকে হুমকি দেয়। এরপর থেকে আমি অনেক ভয়ে আছি।

অন্য একজন ভোক্তা নাঈম রূপ জানায়, আমার স্ত্রী Leona Rahman Lean নামক একটি ফেসবুক পেজ থেকে একটা হলুদের মেকআপ ক্রয় করে। যার মূল্য ৮,৩০০ টাকা। আর মেকাপ খারাপ হওয়ার কারণে সে তার পার্সোনাল টিকটক আইডি তে বলে যে তার মেকআপ টা পছন্দ হয়নাই।

এই কথা বলার কারণে উক্ত প্রতিষ্ঠানের মেকআপ আর্টিস্ট আমার স্ত্রীর সাথে দুর্ব্যবহার করে এবং হুমকি দেয়। এখন আমার প্রশ্ন হল প্রডাক্ট খারাপ হলে আমি কি সে বিষয়ে বলতে পারব না?

এমনই প্রশ্ন আজ হাজারো ক্রেতার কাছে। প্রতিদিনই অনেক মানুষ অনলাইন শপে শিকার হচ্ছেন হয়রানির। অনেক জালিয়াত প্রতিষ্ঠান কাছে থেকে পাচ্ছেন হুমকি। তাদের কাছে নেই কোন প্রতিকার। অভিযোগ করলে বেড়ে যাচ্ছে হুমকির মাত্রা। এমতাবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

নাঈম || ভোক্তাকণ্ঠ

ভোক্তা অধিকার সংক্রান্ত সংবাদ দেখুন

আরো সংবাদ দেখুন: ফুডপান্ডার অভিযোগআটক জ্বিনের বাদশাহ