প্রণোদনার ঋণ পেতে দিতে হচ্ছে ঘুষ

VK _AS || ভোক্তাকণ্ঠ : সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) পরিচালিত এক জরিপে  উঠে এসেছে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ঋণ পেতে ঘুষ দিতে হচ্ছে তা জানিয়েছে ২৯ শতাংশ শিল্পপ্রতিষ্ঠান। প্রণোদনার ঋণ পেতে দিতে হচ্ছে ঘুষ

গতকাল শনিবার সংস্থার এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। ৫০১টি শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠানের
উদ্যোক্তা কিংবা তাদের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে গত জুলাইয়ে জরিপটি পরিচালনা করে সানেম।

ঘুষের দাবিসহ বিভিন্ন কারণে জরিপে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ৭৯ শতাংশ জুলাই পর্যন্ত প্রণোদনা
প্যাকেজের বাইরে রয়ে গেছে। অর্থাৎ মাত্র ২১ শতাংশ প্যাকেজ থেকে ঋণ সুবিধা পেয়েছে। প্রণোদনার ঋণ পেতে দিতে হচ্ছে ঘুষ

তবে ব্যাংক কিংবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ঘুষ দাবি করা হয়েছে- সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি
সানেমের পক্ষ থেকে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. সেলিম রায়হান বলেন, জরিপে অংশগ্রহণকারী
২৯ শতাংশ উদ্যোক্তা বা তাদের প্রতিনিধিরা ঘুষ দাবির অভিযোগ করেছেন।
৪৭ শতাংশ ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ কোনোটাই বলেননি। ‘মৌনতা সম্মতির লক্ষণ’ হিসেবে নিলে এরাও ঘুষের শিকার
বলে ধরে নেওয়া যায়। তারা হয়তো ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই সরাসরি ‘হ্যাঁ’ বলতে চাননি।
আর মাত্র ২৪ শতাংশ জানিয়েছে, তাদের কাছে ঘুষ চাওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন : [ বাল্যবিবাহের প্রবণতা কমাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে : গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী – Voktakantho ]

করোনার অভিঘাত থেকে অর্থনীতি সুরক্ষায় ঋণ আকারে কয়েক দফায় ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার আর্থিক
প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এর মধ্যে শিল্পঋণের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি
শিল্প খাতের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা, রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ রয়েছে।

পাশাপাশি নিম্নআয়ের মানুষ ও কৃষকের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলে
১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, প্রি-শিপমেন্ট ঋণে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ রয়েছে প্যাকেজে।
ব্যাংকের মাধ্যমে সহনীয় সুদে ঋণ আকারে এই প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন হারে ঋণের সুদে ভর্তুকি পরিশোধ করছে সরকার।

জরিপের মূল বিষয় ছিল ব্যবসায় আস্থা। সানেম বলছে, গত এপ্রিল-জুন সময়ে কভিড পরিস্থিতি আগের
প্রান্তিকের তুলনায় খারাপ ছিল। তাই ওই প্রান্তিকে ব্যবসায়ীদের আস্থা নেমেছে ৪১ শতাংশে।
আগের প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) তা ছিল প্রায় ৫৮ শতাংশ।
তাহলে কভিডের কারণে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া কেমন ছিল?
এই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন জরিপে অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ীরা।
৬৪ শতাংশ ব্যবসায়ী মনে করেন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার গতি দুর্বল।
২৭ শতাংশ ব্যবসায়ী মনে করেন, মোটামুটি মানের পুনরুদ্ধার হচ্ছে। আর ৯ শতাংশ ব্যবসায়ীর মতে, পুনরুদ্ধারের ধরন শক্তিশালী।