গাবতলী গরুর হাটঃ চাঁদাবাজি আছে, চাঁদাবাজি নেই

ঢাকা, ১২ মে রবিবারঃ গাবতলী গরুর হাটের চাঁদাবাজি বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজার পরিদর্শনকালে ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাইদ খোকনের দেয়া বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে রাজধানীর প্রসিদ্ধ এই পশুর হাটের ইজারাদার ও ব্যবসায়ীরা।

আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ‘সাগর-রুনি’ কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য উপস্থাপন করেন পশুরহাট ইজারাদার ও পশু ব্যবসায়ীদের পক্ষে সানোয়ার হোসেন ও আবুল হাসেম। উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তাঁরা বলেন,’ গাবতলীতে বিক্রির সময় সিটি করপোরেশন নির্ধারিত হাসিল ছাগলের জন্য ৩৫ টাকা, গরুর জন্য ১০০ টাকা ও মহিষের জন্য ১৫০ টাকা নেওয়া হয়। প্রায় ১৬ কোটি টাকা দিয়ে ইজারা নেওয়া হয় এই হাটে কিন্তু সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত ফি ছাড়া বাড়তি টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই।’

এখানে প্রতিদিন গড়ে ৬০০ থেকে ৮০০ পশু বিক্রি হয় জানিয়ে সানোয়ার হোসেন প্রশ্ন তোলেন,’ চাঁদাবাজির কারণে যদি মাংসের দাম বৃদ্ধি পায়, তাহলে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় মাংসের দাম ঢাকার চেয়েও বেশি কেন?’ সানোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, মাননীয় মেয়র সাইদ হোসেনের কানভারী করছেন জনৈক রবিউল হোসেন, যার কোন মাংসের দোকান নেই। নিজেকে মাংস ব্যবসায়ী দাবী করে এই লোক বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। প্রয়োজনে সিটি কর্পোরেশনকে বিষয়টি তদন্তের আহবান করেন তিনি।