গাইবান্ধায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায়ে একজনের আমৃত্যু কারাদন্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায়ে আজ মঙ্গলবার (০৮ মার্চ) মাজেদুল ইসলাম (২৫) নামের এক যুবকের আমৃত্যু কারাদন্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুপুরে গাইবান্ধা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ আদালতের বিচারক কে.এম শহীদ আহম্মেদ এই সাজা দেন। এ ছাড়া মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।

গাইবান্ধা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি শাহীন গুলশান নাহার রায় প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমৃত্যু কারাদন্ড ও জারমানা ছাড়াও আলামত গোপন এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার অপরাধে দন্ডবিধি ২০১ ধারায় মাজেদুলের আরও পাঁচ বছর কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জরিমানার টাকার মধ্যে ৫০ হাজার সরকারি কোষাগারে এবং ৫০ হাজার টাকা মামলার বাদি পাবেন বলে আদেশ দেওয়া হয়েছে।’

মামলার বিবরণে জানা যায়, গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বাউসি গ্রামের সেলিম মিয়ার শিশুকন্যা সিনথী আক্তার (৭)। ২০১৭ সালের ৩১ আগষ্ট একই গ্রামের সায়দার রহমানের ছেলে মাজেদুল ইসলাম শিশুটিকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে। পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর বাড়ির পাশের পুকুরের কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পরদিন ১ সেপ্টেম্বর ওই পুকুর থেকে শিশু সিনথীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় শিশুটির বাবা সেলিম মিয়া বাদি হয়ে ফুলছড়ি থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় মাজেদুলসহ চারজনকে আসামি করা হয়। সাক্ষ্য প্রমানে দোষি প্রমানিত হওয়ায় মাজেদুল ইসলামকে আমৃত্যু কারাদন্ড, একলাখ টাকা জরিমানা এবং আরও পাঁছবছর কারাদন্ড দেওয়া হয়। খালাস পাওয়া তিনজন হচ্ছেন একই গ্রামের আহসান হাবিব (১৯), আকরাম মিয়া (১৮) ও সেতারা বেগম (৪৮)। তাদের বিরুদ্ধে দোষ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাশ প্রদান করেন আদালত।

আসামি পক্ষে সরকার নিযুক্ত আইনজীবি ও জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেন, আসামিপক্ষ এই রায়ে সংক্ষুব্ধ। তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।