ঘোড়াঘাটে চিনির বাজারে অস্থিরতা, নেই বাজার মনিটরিং

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বিভিন্ন হাটগুলোতে চিনির বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনিক নজরদারি না থাকায় চিনিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে।

সরেজমিনে ঘোড়াঘাটের রাণীগঞ্জ, বলগাড়ী, ডুগডুগীসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

ঈদ-উল-ফিতরের পূর্বে ১২০ টাকা ও পরে ১২৬ টাকা বিক্রি হলেও গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত একলাফে ১৪০ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

গত কয়েক মাস ধরেই অস্থির চিনির বাজার। কোনো ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না চিনির দাম। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে প্যাকেটজাত ও খোলা চিনি। তারপরও মিলছে না সব দোকানে।

এদিকে, খুচরা পর্যায়ে প্রকাশ্যে খোলা বা প্যাকেটজাত চিনির দেখা না মিললেও ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে চিনি বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে চিনি কিনতে হচ্ছে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, সিন্ডিকেট করে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন আমদানিকারক ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা।

চিনি সংকটে ডিলারদের অভিযোগ মিল মালিকদের ওপর।

আর চিনির দাম অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসা নিয়ে দিশেহারা, চা দোকান, মিষ্টি ও চিনি ব্যবহৃত বহুজাত ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ব্যবসায়ীরা বলেন, চিনির দাম বাড়ায় মিষ্টিজাত পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। পাশাপাশি বাজারে পর্যাপ্ত চিনিও পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে, চিনির দাম বেড়ে যাওয়ায় পকেট কাটা যাচ্ছে ক্রেতাদের। এতে চিনির ব্যবহার কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি চা পান করাও কমিয়ে দিয়েছেন ক্রেতা ও ভোক্তারা। তারা বলছেন, আগে চিনি ১১০ টাকা কেজিতে কিনলেও এখন ১৪০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। যেভাবে হু হু করে দাম বাড়ছে, এতে চিনি খাওয়া বাদ দিতে হবে।

এ অবস্থায় দ্রুত সরকার ও আমদানিকারকদের সমঝোতা এবং আইনগত পদক্ষেপ ছাড়া বাজারে অস্থিরতা কমবে না বলে মনে করেন সাধারণ ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা। তারা বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ও আমদানিকারকদের একসঙ্গে বসে এবং আইনগত ভাবে পদক্ষেপ নিলেই সমাধান আসবে তাছাড়া নয়।

এর আগে সবশেষ চলতি মাসের ০৬ এপ্রিল আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় দেশের বাজারেও সমন্বয় করতে তিন টাকা কমিয়ে খোলা চিনি ১০৪ ও প্যাকেটজাত ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে দাম কমানোর ঘোষণা দেয়ার পর দিনই দাম আরও বেড়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফিউল আলম বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।