দেড় মাস ধরে অন্ধকারে ভোলার বিচ্ছিন্ন ২ চর

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: প্রায় দেড় মাস ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের মাঝের চর ও দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়ন। সাবমেরিন ক্যাবলের ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এখানকার জনজীবন। দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে পাওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন চরের বাসিন্দারা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন মাঝের চর ও দৌলতখান উপজেলার বিচ্ছিন্ন মদনপুর চরের বাসিন্দাদের বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়ার জন্য সাড়ে চার কিলোমিটার সাবমেরিন ক্যাবল লাইন টেনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছিল গত বছরের ডিসেম্বর মাসে। আর তখন থেকেই বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছিল ওই চরাঞ্চল।

প্রায় ৭ মাস ভালো চললেও গত ২৩ জুন সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটি দেখা দেয়। এতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে কাচিয়া মাঝের চর ও মদনপুর ইউনিয়ন। বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন চরের বাসিন্দারা। রাতে কূপি জ্বালিয়ে দৈনন্দিন কাজ করছেন তারা। বিদ্যুৎ না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা।

ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝের চরের বাসিন্দা মো. শাজাহান জানান, দীর্ঘদিন আমাদের মাঝের চরে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। প্রায় সাত মাস আগে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ দেড় মাস ধরে আমাদের চরে বিদ্যুৎ নেই। এখন আমরা খুবই অশান্তিতে দিন কাটাচ্ছি।

সায়েরা বেগম জানান, দেড় মাস ধরে মাঝের চরে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে আমাদের ঘরে লাইট, ফ্যান চালাতে পারি না। শিশুরা গরমে কষ্ট পাচ্ছে। আমরা অনেক অসুবিধায় আছি।

ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের মাঝের চরে ব্যবসায়ী মো. আব্দুর রব জানান, বিদ্যুৎ আসার পর তিনি তার দোকানে কোমল পানীয়, আইসক্রিম, দধি বিক্রি করার জন্য একটি এনজিওর থেকে ঋণ নিয়ে ফ্রিজ কিনেছেন। কিন্তু দেড় মাস ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় তার ফ্রিজে রাখা সব মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। এখন ফ্রিজও নষ্ট হওয়ার পথে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে তার মতো অনেক ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. আলতাপ হোসেন জানান, নদীর মধ্যে সাবমেরিন ক্যাবলের সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে কাচিয়ার মাঝের চর ও মদনপুর ইউনিয়ন। সাবমেরিন ক্যাবল মেরামত করার জন্য ডুবুরি দল নামালেও পানির গভীরতা ও স্রোতের কারণে সমস্যার সমাধান হয়নি। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।