দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমায় পাঁচ প্রতিষ্ঠান, সূচকে মিশ্র প্রবণতা

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে বেড়েছে প্রধান মূল্যসূচক। তবে ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে। সূচকের মিশ্র প্রবণতার মধ্যেই বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। পাশাপাশি দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে পাঁচ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হতেই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসই-এক্স ৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের দুই মিনিটের মাথায় সূচকটি চার পয়েন্ট কমে। অবশ্য পাঁচ মিনিটের মধ্যে আবার ঊর্ধ্বমুখী হয় সূচক এবং পরের ২৫ মিনিট টানা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ে। এতে ১০টা ২৮ মিনিটে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

এ পরিস্থিতিতে দিনের লেনদেন শেষে সূচকের বড় উত্থান হবে এমন আশা করছিলেন যে বিনিয়োগকারীরা, দিনের লেনদেন শেষে তাদের আশা পূরণ হয়নি। কারণ প্রথম দুই ঘণ্টার লেনদেন শেষ হতেই একের পর এক বড় মূলধনের প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। এতে আবারও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে মূল্যসূচক। তবে শেষ আধঘণ্টায় কিছু প্রতিষ্ঠানের পতনের মাত্রা কমায় প্রধান সূচক ঊর্ধ্বমুখী থেকেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসই-এক্স আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫১৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৫৯৭ পয়েন্টে নেমে গেছে।

দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৫৪ কোটি ৩২ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ১৫০ কোটি ৮১ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১০৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা। বাজারটিতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১৭১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৩টির। আর ৪৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শ্যামপুর সুগার মিল, জিল বাংলা সুগার মিল, ইউনিয়ন ইনস্যুরেন্স, এরামিট সিমেন্ট এবং বিডি থাই ফুডের শেয়ার দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে। দিনের সর্বোচ্চ দামে লেনদেন হলেও এক পর্যায়ে এই পাঁচ কোম্পানির শেয়ারের বিক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে।

এদিকে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৮৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার ৭৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৫০ কোটি ৪০ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বেক্সিমকো, বে-লিজিং, সাইফ পাওয়ারটেক, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, জিপিএইচ ইস্পাত এবং একমি ল্যাবরেটরিজ।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩০৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০২টির এবং ৪১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।