ঈদের আগেই মসলার দাম বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঈদের আগেই মসলার দাম বাড়াতে শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। নাম সর্বস্ব মূল্য তালিকা টানানো থাকলেও তা মানছেন না ব্যবসায়ীরা। নিজেদের ইচ্ছেমত দাম নিচ্ছেন। এছাড়া অনেক দোকানেই নেই মূল্য তালিকা।

বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারী মশলার বাজারে অভিযান চালিয়ে তিনটি পাইকারি দোকানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

দেখা যায়, দোকানে টানানো মূল্য তালিকার থেকে বেশি দামে বিক্রি করছে মসলা। দোকানে বিভিন্ন দামের মসলা থাকলেও এক দামই মূল্য তালিকায় লিখে রাখা হয়েছে। পরে এসব অপরাধের প্রেক্ষিতে মেসার্স নবাবগঞ্জ ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা, ভাতিজা স্টোরকে ১০ হাজার টাকা এবং মোস্তফা এন্টারপ্রাইজকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মৌলভীবাজারের পাইকারী মসলার দোকানগুলোতে মূল্য তালিকার থেকে বেশি দামে মসলা বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া একই মসলার বিভিন্ন ধরণ থাকলেও মূল্য তালিকায় দাম দেওয়া আছে একটির।

অভিযানের বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, ঢাকা জেলা প্রধান মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল ভোক্তাকণ্ঠকে বলেন, আজ পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে মসলার পাইকারি বাজারগুলোতে অভিযান চালানো হয়েছে। দোকানে টানানো মূল্য তালিকার থেকে বেশি দামে মসলা বিক্রি করার অপরাধে তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। যাতে পরবর্তীতে এমন ভুল না করে।

এছাড়া ব্যবসায়ীদের নিয়মিত পণ্যের মূল্য তালিকা হালনাগাদ করা এবং পণ্য ক্রয় বিক্রয়ে পাকা রশিদ সংরক্ষণ করার প্রতি আহ্বান জানান এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ পাইকারী মশলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুল হক বলেন, পণ্যের দাম সকাল বিকাল উঠানামা করে। অনেক সময় পণ্যের দাম সকালে যেটা থাকে বিকালে সেটা কমে যায়। তখন বিক্রেতারা সব সময় সেটা মূল্য তালিকায় ঠিক করার সময় পান না বা ভুলে যান। তাই এই বিষয়ে একটু সহনশীল হওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

অভিযান শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস সাংবাদিকের বলেন, আমরা এখানে অনেক দোকানে মূল্য তালিকা পাইনি। আবার অনেক দোকানে ঘোষিত মূল্য তালিকার সঙ্গে বিক্রয় মূল্যের মিল পাইনি। এছাড়া তারা ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ করছেন না। এজন্য আমরা আজকে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্কতামূলক জরিমানা করেছি। পাশাপাশি তাদের সতর্ক করেছি যেন তারা অবশ্যই ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ করেন, ঘোষিত মূল্যের থেকে বেশি দামে যেন পণ্য বিক্রি না করেন।

আরইউ